তামিম-সাব্বিরের ব্যাটে দ্বিতীয় ম্যাচেও চট্টগ্রামের সহজ জয়

25

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা দল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজ জয় পেয়েছে। নোয়াখালী চৌমুহনীর বেগমগঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় চট্টগ্রাম জেলা দল ১১৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দলকে পরাজিত করে। তাদের পরবর্তী খেলা ১৩ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ স্টেডিয়ামে।
গতকাল টসে জিতে চট্টগ্রাম জেলা দল প্রথমে ব্যাট করে। ৪৯.৫ ওভার ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে তারা ২২৭ রান সংগ্রহ করে। রহমত উল্লাহ সাব্বির এবং হামজা মাহমুদ তামিমের দুই অর্ধশতকে চট্টগ্রাম দ্বি-শতাধিক রানের ইনিংস গড়ে তোলে। রহমত উল্লাহ ১১০ বল খেলে ৬৩ এবং হামজা মাহমুদ ৮২ বলে ৬৪ রান সংগ্রহ করেন। এর আগে দুই ওপেনার ওবাইদুর রহমান ইশ্তি এবং তালহা যুবায়ের যথাক্রমে ১৭ এবং ২১ রান যোগ করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ৪৬ রান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের এ রহমান ৩৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন। নাজমুল ইসলাম এবং জুনায়েদ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। সাইমন খন্দকার এবং খোরশেদুল আলম দু’জনেই পান ১টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্য ২২৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩৮.৪ ওভার খেলে ১১৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে খোরশেদুল আলম সর্বোচ্চ ৩৮, সারওয়ার আহমেদ এবং এ রহমান প্রত্যেকে ১৪ রান করে সংগ্রহ করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ২৫ রান। চট্টগ্রামের সফল বোলার ছিলেন আশরাফুল রহমান, ১৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন তিনি। ওবাইদুর রহমান ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া মো. আসিফ, আবদুল্লাহ হানিফ এবং মো. সুমন প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান। চট্টগ্রাম ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার খেলায় চাঁদপুর ১৬৪ রানের বড় ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে। আগের খেলায় চাঁদপুর কক্সবাজারকে হারিয়েছিল। বান্দরবান তাদের আগের খেলায় কক্সবাজারের কাছে পরাজিত হয়। গতকাল সাগরিকার মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় টসে জিতে চাঁদপুর প্রথমে ব্যাট করে। নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলায় তারা ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রানের সংগ্রহ গড়ে তোলে। দলের অনুরাগ মিত্র ৬৯ বল খেলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮টি চার হাঁকান এই ব্যাটসম্যান। এর আগে তিন নম্বরে খেলতে নেমে চাঁদপুর অধিনায়ক রাকিব হোসেন ৪৩ রান করেন ৬টি চার মেরে। ওপেনার কাম উইকেট কিপার আবদুল মোতালেব ৫১ বল খেলে ২৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া বিস্ময়কর ১০,নাসির আহমেদ ১৩ এবং মো. আলী ১৬ রান করেন। বান্দরবানের মোহাম্মদ রাজিব ২৪ রানে ৩টি উইকেট পান। দ্বীপায়ন এবং রাসেল উদ্দিন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জয় দাশ পান ১টি উইকেট। জবাব দিতে নেমে বান্দরবানের ব্যাটসম্যানেরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তাদের কেউ দ্বি-অংকের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ছিল মোহাম্মদ রাজিবের। তিনি ৮ রান করেন ২৯ বল খেলে। অতিরিক্ত থেকে আসে ইনিংসের সবচেয়ে বেশি রান ১৫। বান্দরবানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০.২ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে। চাঁদপুরের নাসির আহমেদ বান্দরবানের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আতংক ছড়ান। মাত্র ৯ রান দিয়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন এই বোলার। এছাড়া তামিম শেখ ১৬ রানে ২ উইকেট,হৃদয় মিজি ১ রান দিয়ে এবং অনুরাগ মিত্র ৮ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট পান।