ডিসিকে রিয়াজউদ্দিন বাজার আলম মার্কেটের রিসিভার নিয়োগ

17

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিয়াজউদ্দিন বাজারের আলম মার্কেটে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) রিসিভার নিয়োগ করেছেন আদালত। সোনালী ব্যাংকের ১০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় এ সম্পদ বন্ধক রাখা হয়। একই সঙ্গে আলম মার্কেট থেকে অবৈধ দখলদার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
এই বিষয়ে সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রামের জিএম আলী আশরাফ আবু তাহের বলেন, ফেইম লেদার লিমিটেড গং সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় আলম মার্কেটসহ জমি বন্ধক রাখেন। পরে তারা খেলাপি হয়ে যান। এখন আদালত বন্ধকী সম্পদ আলম মাকের্টের দখল নিতে তা পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামকে রিসিভার নিয়োগ করেছেন। এখন থেকে আলম মার্কেট পরিচালনা করবেন জেলা প্রশাসক।
আদালতের তথ্যমতে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ সোনালী ব্যাংক নগরের পাঁচলাইশ শাখার দায়ের করা অর্থঋণ মামলা নম্বর ২০২/২০০৩ এর ডিক্রি কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালোর ৭ জুন একটি জারি মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর মার্কেট-সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহŸান করা হয়। কিন্তু কেউ অংশ না নেওয়ায় নিলাম কার্যক্রম ব্যর্থ হয়। ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর সুদ মওকুফোত্তর যাবতীয় পাওনা বন্ধকী সম্পত্তির দায়িকগণের সঙ্গে সমঝোতা হয়। পরে সেই চুক্তিও বাতিল হয়ে যায়। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর ফের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে জারি মামলার তফসিলভুক্ত সম্পত্তি সমূহে তৃতীয় পক্ষ জনৈক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর কোনো আইনগত অধিকার নেই। তিনি একজন বহিরাগত। উক্ত স্থাপনায় গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর আইনগত অধিকার না থাকা সত্তে¡ও দখলে থাকায় তাকে উচ্ছেদ করা আবশ্যক। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরে ব্যাংক আলম মার্কেটে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করে। সার্বিক বিবেচনায় ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামকে ১ নম্বর তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তি আলম মার্কেটে রিসিভার নিয়োগ করা হলো। রিসিভার দখলদার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে উচ্ছেদ-পূর্বক সম্পত্তির দখল গ্রহণ করবেন। তিনি আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে দখল গ্রহণ করবেন এবং আয় ব্যয়ের হিসাবসহ প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।