টেকনাফ সীমান্তে ফের গোলাগুলি

12

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘর্ষের আবারও বিকট শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তের এপারে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর গত রবিবার রাত ১১ টার পর থেকে গতকাল সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত মিয়ানমারের কয়েকটি এলাকা থেকে ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সীমান্তে বসবাসরত পরিবারগুলো আতঙ্কে রয়েছে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হোয়াইক্যং সীমান্তে আবার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এলাকা। মনে হচ্ছে ভ‚-কম্পন হচ্ছে। এতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
হোয়াইক্যং ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাজী জালাল আহমদ বলেন, ‘কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার গত রাত ১১ টার পর থেকে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত হোয়াইক্যং সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের কয়েকটি এলাকায় ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোন যায়। এতে আমাদের এলাকা পর্যন্ত কেঁপে উঠছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে’।
হোয়াইক্যং ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নূর আহমদ আনোয়ারী জানান, রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের বসবাসকারীরা ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ ও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান।
টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, আবারও এ সীমান্তে গোলাগুলির খবর জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের ৩০০ মিটারের বসবাসকারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিস্থিতি অনুযায়ী নেওয়া হবে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।
বিজিবি প্রধানের সীমান্ত এলাকা পরির্দশন
এদিকে গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে তুমব্রু, বৈশপাড়া ও কোনারপাড়ায় জিরো লাইনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিজিবি বিশেষ ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। এসময় তিনি বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে ক‚টনৈতিক আলোচনা চলছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১ টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত ফাঁড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) আমাদের সাথে মোবাইল, ইমেইল এবং লিখিত নথির মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ করছে।
বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন সময় মর্টার শেল ও গুলি ছোড়ার বিষয়ে মেজর জেনারেল শাকিল বলেন, প্রতিটি ঘটনারই বিজিবি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিরসনে ক‚টনৈতিক তৎপরতা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক এ পরিদর্শনকে নিয়মিত পরিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমারের কোনো অনুপ্রবেশকারী যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।