টানা ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকের ভিড়

29

এবছর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পর্যটকের ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য ছিল বান্দরবান জেলা। নির্বাচন পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় প্রতিদিন প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটছে বান্দরবান শহরে। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত পাওয়া তিনদিনের টানা ছুটি কাটাতে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে লক্ষাধিক দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় জমেছে।
ভ্রমণে আসা বিভিন্ন পর্যটকরা মেঘলা, নীলাচল, নিলিগিরি, চিম্বুক, রুমায় রিজুক ঝর্ণাসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। জেলা শহরের সবকটি আবাসিক হোটেল-মোটেল-রেস্ট হাউস ও গেস্ট হাউস পূর্ণ হয়ে গেছে। শহরের সব হোটেল-মোটেল এক মাস আগেই বুকিং হয়ে গেছে। তবে অতিরিক্ত লোক আসায় একই রুমে কিংবা ডাবল বেডে একাধিক লোক ভাগাভাগি করে থাকছেন। টানা ছুটিতে পর্যটকের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্টহাউজ মালিকসহ পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থা গুলোকে।
এদিকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ভরা মৌসুমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ব্যবসায় কিছুটা লোকসান গুনতে হয়েছে। তবে নির্বাচনের পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বান্দরবানে আবারও প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আবার টানা তিনদিন সরকারি ছুটিতে প্রচুর পর্যটক এসেছে। এতে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব্য হবে বলে মনে করছেন তারা।
ভ্রমণে আসা পর্যটকরা জানান, বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। পাহাড়ে ভ্রমনটা আলাদা মজা। তবে এখকার প্রশাসন যদি পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে পর্যটকদের কিছু ধারনা দেওয়ার ব্যবস্থা করতো তাহলে পর্যটকদের জন্য আরো সুবিধা হতো। সরকার যদি পর্যটন খাতে একটু নজর দেয়, তাহলে আরো প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক আসবে। সরকারও এই খাত থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, শীতের শুরুতে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন বান্দরবানে। কিন্তু এবছর ভরা মৌসুমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি হলেও আবারও প্রচুর পর্যটকের আগমন দেখা যাচ্ছে। আশা করি বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবে ব্যবসায়ীরা।
জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, বান্দরবান পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকেরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সার্বক্ষণিক মোতায়েন রাখা হয়। নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই। কোনো পর্যটক যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা চায় তাও ব্যবস্থা করা হবে।