টাকা না পেয়ে খুন করেছে দেবর

32

দেবর ফরহাদ হোসেন লিমন (২২) ভাবীর কাছে টাকা চেয়েছিল কিন্তু দেননি ভাবী হাসিনা বেগম। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ভাবীকে খুন করেন তিনি। খুনের পর ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও নিয়ে যান তিনি।
গতকাল সোমবার সিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। লিমন রিমান্ডে পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে বলে তিনি জানান। রিমান্ডের প্রথম দিনে আসামি লিমনের দেওয়া তথ্যে পুলিশ লুট হওয়া কানের দুল, চেইন, ব্রেসলেটসহ স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে। সাউন্ড বক্সের ভেতরে লুকানো ছিল এসব সামগ্রি।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ভাবী হাসিনা বেগমকে (৩২) হত্যা করে ফরহাদ হোসেন লিমন। পরে হাসিনা বেগমের মরদেহ বাসার বাইরে আরেকটি কক্ষে তালা মেরে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাসিনা বেগমের ভাই মো. মানিক আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
আকবর শাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিবুর রহমান বলেন, ‘ফরহাদ হোসেন লিমনকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। রিমান্ডের প্রথম দিনেই লিমন তার ভাবীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, লিমন জানিয়েছে-দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে। হত্যাকান্ডের দিন হাসিনা বেগমের বাসায় টিভি দেখার কথা বলে প্রবেশ করে। পরে রাতে ঘুমিয়ে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাসিনা বেগমকে খুন করে মরদেহ লুকিয়ে রাখে এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
হাসিনা বেগমের বাড়ি নোয়াখালীর শফিগঞ্জ এলাকার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে। তিনি আকবর শাহ থানাধীন কালির হাট ১নম্বর গলিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং গার্মেন্টে চাকরী করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।