জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব গেল এনবিআরে

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা একের পর এক মদের চালান আটকের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম। এসব জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক এ তথ্য জানান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অতীতেও বিভিন্ন সময়ে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট দলিলাদি জাল বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সিল-স্বাক্ষর জাল করে পণ্যচালান খালাস করেছিল। এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না। তাই আলোচিত মদের চালানগুলো মিথ্যা ঘোষণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি এবং খালাসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন ও কঠোর শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কাস্টমস, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর শাখা) মো. সাইফুল হক বলেন, কাস্টমস হাউসে আলাদা একটি এন্টি মানি লন্ডারিং শাখা রয়েছে। এই শাখায় মানি লন্ডারিং হয়েছে এমন আলামত পাওয়া গেলে মামলার অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়। আলোচ্য ৫টি মদের চালানের তথ্যসহ নথি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়েরের জন্য এন্টি মানি লন্ডারিং শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে।