নিজস্ব প্রতিবেদক
জিন তাড়ানোর চিকিৎসার নামে এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মো. আশিকুল ইসলাম (৩৪) নামে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে স্থানীয়রা তাকে আটক রেখে ৯৯৯ নম্বরে জানায়। পরে সদরঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
আশিকুল বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হাবীবুল আলমের ছেলে। নগরের সদরঘাট দারোগারহাট রোড হাজী নসু মালুম মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ১৬ বছর বয়সী ১০ম শ্রেণির ছাত্রী গত তিন মাস যাবৎ অসুস্থ থাকায় বিভিন্ন সময় চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় তার বাবা মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আশিকুল ইসলামের শরণাপন্ন হন। আশিকুল বলেন, তার ওপর জিন ভর করেছে। দ্রুত ঝাঁড়-ফুঁকের চিকিৎসা না করলে তিনদিনের মধ্যে মৃত্যু হবে। চিকিৎসার জন্য তিনি ২১ হাজার টাকা দাবি করেন। ছাত্রীর বাবা ১০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দরজা জানালা বন্ধ করে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত ঝাঁড়-ফুঁকের চিকিৎসার নামে আশিকুল ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।
কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, জিন তাড়ানোর চিকিৎসার নামে ওই স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার বাবা ও আশেপাশে লোকজন আশিকুল ইসলামকে আটক রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।