জাতিসংঘের সঙ্গে পরামর্শ করেই রোহিঙ্গা স্থানান্তর

16

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা নিয়ে গত দুই বছর ধরে আলোচনা করছে সরকার। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছরের জন্য জাতিসংঘের যৌথ রেসপন্স প্ল্যানে ভাসানচরের বিষয়টি উল্লেখ করার জন্য একাধিক বৈঠক হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।
তবে গত বুধবার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রক্রিয়ায় তাদের (জাতিসংঘ) সম্পৃক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভাসানচর বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে অনেক বৈঠক হয়েছে। এছাড়া এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততার জন্য ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ নিয়ে দুই বছর ধরে আলোচনা চলছে। তিনি জানান, ভাসানচর সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য একটি টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট টিম পাঠানোর জন্য জাতিসংঘকে বলা হয়েছে। তারা (রোহিঙ্গারা) কী করবে, কীভাবে যাবে এবং অন্যান্য শর্তাবলি নিয়েও আলোচনা চলছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি একটি ‘প্রটেকশন টিম’ পাঠানোর জন্য তারা (জাতিসংঘ) আমাদের অনুরোধ করেছে। সেটি নিয়েও আমাদের আলোচনা চলছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই অর্থের কত অংশ রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছায় এবং কত অংশ জাতিসংঘের বিভিন্ন খরচ মেটানোর জন্য ব্যয় হয়, সেই হিসাব তারা কখনও দেয় না। অর্থাৎ জাতিসংঘের স্বচ্ছতার বিষয়টি এখানে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো তথ্য দিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছি, কিন্তু জাতিসংঘ এখনও আমাদের এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর কিছু প্রকল্পের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়েও জাতিসংঘ আমাদের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে সব সময় বলা হয়েছে- রোহিঙ্গাদের জন্য দেশীয় এনজিওকে বেশি প্রাধান্য দিতে, যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বেশি কর্মসংস্থান হয়। আমরা এ বিষয়ে তাদের ইতিবাচক মনোভাব আশা করছি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের