চোর চক্রে পেশাদার ডুবুরি

22

নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ জনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। গত রবিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় দুটি কাঠের নৌকায় সাড়ে ৪ হাজার কেজি লোহার গ্যালভানাইজ এঙ্গেলবার উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
গ্রেপ্তার ১৩ জন হলেন- শেখ মোহাম্মদ (২৮), মো. আক্কাস (৪০), নুরুল আবছার (৩০), মোহাম্মদ আলী (৪৭), মো. রফিক (৪৬), মো. আলমগীর (৩২), আইয়ুব আলী (৫৫), জবেল হোসেন (৫৯), খায়ের আহম্মদ (৩০), আব্দুল হামিদ (২৭), সোহরাব হোসেন (৬০), মো. আরাফাত (২৫) ও মাহাবুব আলী (৩০)। এদের মধ্যে মো. আক্কাস, সোহরাব হোসেন ও মো. রফিকের বাড়ি মংলায়। বাকিদের বাড়ি কর্ণফুলী থানার বদুরপাড়া এলাকায়। এছাড়া ১৩ জনের স্বীকারোক্তিতে আরও ২ জনের নাম যুক্ত করে মামলা করা হয়। বাকি দুইজন হলেন- মো. আরিফ প্রকাশ আলী (৩২) ও মো. জাবেদ (৪২)। জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরের স›দ্বীপ চ্যানেলে আরেকটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামের জাহাজ। এতে পদ্মা সেতুর প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন লোহার মালামাল ছিল। সেতু কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে মালামাল উদ্ধারের কাজ শুরু করে। উদ্ধারকৃত কিছু মালামাল নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসার মাঝখানের ১৫ থেকে ১৬ দিন সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট মালামাল চুরি করে নিয়ে আসে এ চক্রটি।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে রবিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে আরও দুইজনের নাম পাওয়া গেছে। বেশকিছু মালামাল পাওয়া গেছে। ১৩ জনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।