চাহিদার পাত্র না পেয়ে তরুণীর আত্মহত্যা

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

পড়াশোনার পাট চোকানোর পর দীর্ঘ দিন ধরেই পাত্রের খোঁজ করা হচ্ছিল শিল্পী ঘোষের জন্য। বিয়ের জন্য শিল্পী ঘোষের একটিই ‘শর্ত’ ছিল পাত্রকে সরকারি চাকুরিজীবী হতে হবে! কিন্তু ‘শর্তপূরণ’ না হওয়ায় কোনও পাত্রকেই মনে ধরছিল না ছাব্বিশ বছরের মেয়ে শিল্পীর।
এ কারণে অভিমান করে গত বৃহস্পতিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শিল্পী ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে জানায় তার পরিবার। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের কান্দিতে শিল্পীর ‘আত্মঘাতী’ হওয়ার কথা শুনে প্রতিবেশীরা জানান, সকলের কাছে এক ডাকে ‘ভালো মেয়ে’ বলে পরিচিত ছিল শিল্পী ঘোষ। সরকারি চাকুরিজীবী পাত্র না মেলায় দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলো সে।
আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কান্দির খড়গ্রামের গুরুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী ঘোষের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারাই খড়গ্রাম থানায় খবর দেন। পুলিশ গলায় গামছার ফাঁসে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিল্পী আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানা।
দাদার একমাত্র মেয়ের মৃত্যুতে হতবাক শিল্পীর কাকা সঞ্জীব মন্ডল। তিনি বলেন, ‘স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই শিল্পীর জন্য পাত্রের খোঁজ করছিলেন দাদা। তবে অর্থ-সম্পদ রয়েছে এমন পাত্রদের দেখাশোনা করা হলেও সরকারি চাকুরিজীবী পাত্র ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি শিল্পী।’
শিল্পীর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন ঘোষ জানান, ‘কোনও প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল না শিল্পীর। সে আমার বোনের মতো ছিল। গ্রামের সকলে ওকে এক ডাকে ভাল মেয়ে বলে চেনে। ওর বিরুদ্ধে গ্রামের কারও কোনও অনুযোগ পর্যন্ত নেই। অনেক দিন ধরে পর পর বিয়ের জন্য দেখাশোনা চললেও সরকারি পাত্র ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হয়নি শিল্পী। হয়তো সেজন্য ওর মানসিক চাপ বাড়ছিল। হয়তো চেয়েছিল, বিয়ের পর ভালভাবে থাকবে। তবে কপালে না থাকলে যা হয়!’