চাম্বল ইউপিতে ৫৪ প্রার্থীর ভোটযুদ্ধ আজ

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমরা বললে সুষ্ঠু, না বললে অসুষ্ঠু, তোমার আঙ্গুল, টিপ দেব আমি।’ ইভিএমে ভোট দেয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় এমন চাঞ্চল্যকর বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী। এমন বক্তব্যে ইসিকে বিতর্কিত করায় এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলাও করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। বন্ধ হওয়ার চার মাসের মাথায় আজ আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন চার জন। তাদের মধ্যে মুজিবুল হক চৌধুরী (নৌকা), ফজল কাদের চৌধুরী (আনারস), সাহেদা বেগম নুরী (চশমা) ও এরশাদুর রহমান (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪১ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। চাম্বলে ২৫ হাজার ৫৯০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৮৫২ জন, মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৭৩৮ জন। মোট ১০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন ভোট সুষ্ঠু করতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নবম ধাপে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ১৫ জুন ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটের প্রচারণায় ইভিএম নিয়ে নৌকার প্রার্থীর বেফাঁস মন্তব্যে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ১৪ জুলাই নতুন করে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করলেও তাও আইনি জটিলতায় বন্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত আজ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় চাম্বলবাসী উচ্ছ¡াসিত।
এদিকে ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি, র‌্যাব টহলের পাশাপাশি একজন ওসির নেতৃত্বে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশ, ১৩ জন আনসারসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সদস্যদের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকর চাকমা বলেন, ‘ইভিএমে টিপ দিয়ে ভোট নেওয়ার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আমরা হতে দেবো না। চাম্বল ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন হয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে অতিরিক্ত ফোর্স থাকবে। নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, সেদিকে নজরদারি থাকবে।’