চসিক প্রকল্প কর্মকর্তাকে মারধরের মামলা ডিবিতে

10

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) দপ্তরে ঢুকে প্রকল্প পরিচালককে মারধর এবং ভাঙচুরের মামলা মহানগর ডিবি পুলিশে (উত্তর বিভাগে) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। গত সোমবার বিকালে তিনি এই আদেশ দেন। বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার নিশ্চিত করেন সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) স্পিনা রানী প্রামাণিক। এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান পূর্বদেশকে বলেন, কাগজপত্র বুঝে পেলে কাজ শুরু করব। যতটুকু জেনেছি, আদালত থেকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করলে আমরা তদন্তভার গ্রহণ করব।
এর আগে প্রকল্প কর্মকর্তা মো. গোলাম ইয়াজদীনকে মারধর এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গত রোববার রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চসিকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাসহ চার ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তারা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, সুভাষ দে, মো. ফিরোজ ও মাহমুদুল্লাহ। সোমবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার চারজনকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক-এর অস্থায়ী কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীর কার্যালয়ে ঢুকে তাকে মারধর করে ঠিকাদাররা। এ সময় তারা প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভেঙে ফেলে।