চমেক হাসপাতালে জোনায়েদ সাকির উপর হামলা

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে তিনি সহ সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ হামলা হয়। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে একদল লোক এ হামলা চালিয়েছে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
আহত অন্যরা হলেন, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্যসচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে সাত দল ও সংগঠনকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল দুপুরে ওই সাত দল ও সংগঠনের নেতারা সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণস্থল বিএম কন্টেইনার ডিপোতে যান। সেখান থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের দেখে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান জোনায়েদ সাকিসহ অন্যরা। তাঁরা যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন, সে সময় সাত আটজনের একটি দল জোনায়েদ সাকিসহ অন্যদের ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগের তীর ঘটনাস্থলের উপস্থিত থাকা পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর যাচ্ছে। এ ঘটনায় থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন রবিন বলেন, আমার আহত রোগীদের সেবা করছি শুরুর রাত থেকে। আমাদের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে ওনারা এসে বক্তব্য দিল, পথ আটকে। রোগী ও স্বজনদের চলাফেরার সমস্যা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষই তাদের ওপর চড়াও হয়। সুযোগে নিজেরা ধাক্কাধাক্কি করে আহত হওয়ার নাট করেছে। মূলত ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে আলোচনায় আসার চেষ্টা।