চন্দনাইশে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে কলেজ ও ভবন নির্মাণ

75

চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া সংলগ্ন জামিজুরী রাস্তার মাথায় এক পাশে কলেজ স্থাপন, অপর পাশে ২টি প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট করে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি স্বাভাবিকভাবে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হবে। প্লাবিত হবে বড়পাড়া ও জামিজুরীর বিস্তীর্ণ এলাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া সংলগ্ন জামিজুরী রাস্তার মাথা এলাকায় সড়কের দু’পাশে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কলেজ স্থাপন ও সংগঠনের নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে মাটি ভরাট করছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন দোহাজারী-জামিজুরী সড়কের উত্তর পাশে পানি চলাচলের ছড়া বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছে আশরাফ-সিরাজ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। ফলে জামিজুরী সড়কের শেষ দিকে থাকা কালভার্টটি বন্ধ হয়ে পানি চলাচল ব্যাহত হবে বর্ষা মৌসুমে, অভিযোগ স্থানীয়দের। একইভাবে সড়কের দক্ষিণ পাশে পাঠানীপুল সংলগ্ন বিশাল জলাশয় ভরাট করছে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম লেদু ফাউন্ডেশন ও আলোকিত যুব সমবায় সমিতি। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পাশে লাগানো ছড়াটি ভরাট হলে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে বড়পাড়া, জামিজুরীসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক তলিয়ে গিয়ে প্রায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একই স্থানে সড়কের দু’পাশে পানি চলাচলে ছড়া ও কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে মহাসড়ক সংলগ্ন বড়পাড়া, জামিজুরী, দক্ষিণ হাশিমপুর, দোহাজারীর একটি অংশ আগামী বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া আশরাফ-সিরাজ স্কুল এন্ড কলেজটি হাশিমপুর মৌজায় প্রতিষ্ঠিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দোহাজারী-জামিজুরী আশরাফ-সিরাজ স্কুল এন্ড কলেজ নামকরণে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষিত সমাজ। এব্যাপারে হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি হাশিমপুর মৌজায় স্থাপিত হচ্ছে, সে হিসেবে দোহাজারী-জামিজুরী নাম উল্লেখ করা সমীচীন হবে না।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজ সাহেব এলাকার নাম অনুযায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছেন। তবে অদ্যাবধি পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বর্ষা সন্নিকটে, এলাকাবাসী বন্যার আতঙ্কে রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বলেছেন, তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন। মাটি ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের কালভার্টটি অকেজো হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া না হলে পুরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বর্ষা মৌসুমের আগে পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।