চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ছাগলের দুধে বেড়ে উঠছে ‘শুভ্রা’ শাবক

11

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা রাজ ও পরি নামের বাঘ দম্পতির মেয়ে সাদা বাঘ শুভ্রা গত ২৬ আগস্ট শাবকের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে এ পরিবারে এখন সদস্য সংখ্যা হলো ১০। খবর বাংলানিউজের
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ক্যাপটিভ ব্রিডিং-এ যে সমস্যা, অনেক সময় বাঘ তার বাচ্চাকে দুধ দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে তাকে আলাদা করে দুধ দিয়ে বাঁচানো খুবই কঠিন কাজ। এর আগে বাঘ শাবক জো বাইডেনের জন্মের সময় আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা হয়। এই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগছে এবং বাঘের যে অধিক মৃত্যুহার তা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কমাতে পারছে।
তিনি জানান, নতুন বাঘ শাবকের ওজন এখন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। জন্মের ১৪-১৫ দিন এটি দুর্বল ছিল। এখন দিনে ৬ বার ৭৫ মিলিলিটার করে ছাগলের দুধ দেওয়া হচ্ছে নতুন শাবকটিকে। মাস দুয়েক পর বাঘ শাবকটি হামাগুড়ি দেবে। ৬ মাস এটি কিউরেটরের তত্ত্বাবধানে থাকবে। এরপর খাঁচায় দেওয়া হবে।
নগরের ফয়’স লেক এলাকায় ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে বাঘ, সিংহ, কুমির, জেব্রা, ময়ূর, ভালুক, উটপাখি, ইমু, হরিণ, বানর, গয়াল, অজগর, শিয়াল, সজারু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।