চট্টগ্রামে ৪ দিনে শনাক্ত হাজার ছাড়ালো ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৩৯ জন

4

গত ৪ দিনে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৭ জনের। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১২ জানুয়ারি ২২২ জন, ১৩ জানুয়ারি ২৬০ জন এবং ১৪ জানুয়ারি ২৯৬ জনের করোনা পজিটিভ হয়। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৪২৭ জন। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৩৩৫ জন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামে নতুন বছরের প্রথম দিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৩ জানুয়ারি শনাক্ত হয়েছে ২৬০ জনের। সংক্রমণ বৃদ্ধির হারও উদ্বেগজনক। ১ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৯ জনের। শনাক্তের হার ০.৬০ শতাংশ। ১১ দিনের ব্যবধানে (১২ জানুয়ারি) শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। ১ হাজার ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ২২২ জনের। শনাক্তের হার ১২.৪০ শতাংশ। পরদিন (১৩ জানুয়ারি) শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ জনে। শনাক্তের হারও ১০ শতাংশের বেশি। ১৪ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৯৬ জন। মানুষের উদাসীনতা ও অবহেলায় সংক্রমণ বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার উপসর্গ হিসেবে সামান্য জ্বর-সর্দি দেখা দিচ্ছে। যা ৩/৪ দিনের ব্যবধানে সেরেও যাচ্ছে। এ ধরনের মৃদু উপসর্গ থাকলেও অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তারা এটিকে স্বাভাবিক সর্দি-জ্বর মনে করছেন। তবে যারা করোনা টেস্ট করাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে শনাক্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। যেহারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ওমিক্রনের প্রাধান্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এর আগে এতো দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়নি।
রোগীর ওমিক্রন শনাক্ত করতে হলে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করতে হয়। বর্তমানে ওমিক্রন সন্দেহ হলে রোগীর নমুনা পাঠাতে হচ্ছে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব অ্যাপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ-এ (আইইডিসিআর)। ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘসময়। অথচ জিনোম সিকোয়েন্স করা গেলে চট্টগ্রামে ওমিক্রন আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করা যেত। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিভিন্ন জটিলতায় ওমিক্রন শনাক্তে কাজ করতে পারছেন না বলে জানান চট্টগ্রামের গবেষকরা।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ১০টি ল্যাবে ১ হাজার ৯৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২১৮ জনই চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা। বাকি ২১ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ২ জন, আনোয়ারার ৩ জন, পটিয়ার ৫ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, রাঙ্গুনিয়ার ২ জন, রাউজানের ২ জন, হাটহাজারীর ৩ জন ও সীতাকুন্ড উপজেলার ২ জন রয়েছেন।
তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। অন্যথায় কোনো প্রচেষ্টা কাজে আসবে না। মানুষের মধ্যে একটা গা ছাড়া ভাব চলে আসছে। ফলে সংক্রমণও বাড়ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি চলাচল করার অনুরোধ জানান তিনি।