চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা মানিক মিয়া ইত্তেফাকে বাঙালি ও বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন দিয়েছেন

13

‘তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া যদি ইত্তেফাক বের না করতেন, বাঙালি জাতি ও বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন না দিতেন, স্বাধীনতা হতো কি না সন্দেহ। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে দৈনিক ইত্তেফাক ও মানিক মিয়ার নাম স্মরণ রাখতে হবে। ষাটের দশকের বিভিন্ন সময় যারা ছিলেন তরুণ-কিশোর, তাদের বোধের উন্মোচন হয়েছে বঙ্গবন্ধু, ইত্তেফাক, মানিক মিয়া, সোহরাওয়ার্দী-এইসব নাম শুনে। সংবাদপত্রে বস্তুনিষ্ঠতা নয় সত্যনিষ্ঠতাই বড় কথা; এই সত্যনিষ্ঠতাই যে সংবাদপত্রের উপর পাঠকের আস্থা বাড়ায় ইত্তেফাক তার প্রমাণ।’ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ৬৯ বছরে দৈনিক ইত্তেফাকের পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিটি অধ্যায়ে দৈনিক ইত্তেফাক এদেশের গণমানুষের কথা বলেছে। মূলধারার সাংবাদিকতায় সত্যনিষ্ঠতাকে সমুন্নত রাখতে ইত্তেফাক কখনো আপস করেনি।
বক্তারা ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের প্রতি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তিনি দেশের এই শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদক পদে আসীন হয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের সাথে সকল প্রজন্মের নিবিড় সংযোগ বিরাজমান। স্বাধীনতা পূর্বকাল থেকে ইত্তেফাক পাঠ করে আসছেন এমন প্রবীণরা এখনও সকালে তাদের চায়ের টেবিলে দিন শুরু করেন এই সংবাদপত্র পাঠের মাধ্যমে। স্বাধীনতা উত্তরকালে দেশের সমাজ-সংস্কৃতি, বিনোদন, গবেষণা ও চলতি জীবনধারার সাথে অভ্যস্থ দেশের নতুন প্রজন্ম সময়ের বাঁকে বাঁকে ইত্তেফাকের সংবাদসহ বিভিন্ন পাতার একনিষ্ঠ পাঠকে পরিণত হয়েছে। তাদের জীবন চালচিত্র ইত্তেফাকের পাতায় এদেশের বাঙালি জীবনের বৈচিত্র ও সৌন্দর্য নিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে ঐসব প্রজন্মের আধুনিকতার রুচিকেও ইত্তেফাক বিশ্বস্ততার সাথে ধারণ করে আসছে। ইত্তেফাকে ৬৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইত্তেফাক চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা। তিনি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আক্তার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. বেণু কুমার দে, সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ, নয়াবাংলা সম্পাদক জিএম এনায়েত উল্লাহ হিরু, বিজিএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, আমরা একুশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহŸায়ক অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলম, সদস্য সচিব মহিউদ্দিন বাদল, বাফা ও বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ফুল ও শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঈনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক লেখিকা ডেইজি মওদুদ, অধ্যাপিকা সুস্মিতা সোপা, সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন শ্যামল, যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহিদুল্লাহ শাহরিয়ার, ডেইলি অবজারভার ব্যুরো প্রধান মোশতাক আহমেদ, বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরের চট্টগ্রাম প্রধান তপন চক্রবর্তী, সাংবাদিক ও নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটি সদস্য দেব দুলাল ভৌমিক, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক কুমিল্লা বোর্ডের উপ-পরিচালক অধ্যাপক সানাউল্লাহ, চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরো চিফ শামসুদ্দিন ইলিয়াস, দৈনিক পূর্বদেশের চিফ রিপোর্টার সবুর শুভ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ড. সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ। দৈনিক ইত্তেফাক চট্টগ্রাম ব্যুরোতে কর্মরতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া রিপোর্টার জাকির হোসেন লুলু, স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার শামীম হামিদ, সিনিয়র ফটো রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সাফাউল হক। বিজ্ঞপ্তি