চকরিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর-লুটপাট

26

চকরিয়া প্রতিনিধি

চকরিয়ায় দোকান থেকে মালামাল কিনতে গিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ব্যবসায়ীসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা কাকারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী এলাকায় মোক্তার আহামদের মুদির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তজেনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে কাকারা ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী এলাকায় মো. নাজেম উদ্দিনের ছেলে মো. শওকত কেনাকাটার জন্য মোক্তার আহামদের দোকানে যায়। এ সময় মালামাল ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্রেতা শওকত বাগবিতÐায় জড়িয়ে পড়ে তার অপর ভাই মনজুর আলমকে মুঠোফোনে কল দিয়ে মোক্তার আহামদের দোকানে আসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় কাসেম, আবদু শুক্কুর, মনোহর আলম, মো. রায়হান, রাকিব, শাহিন ও নূর হোসেনসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জন অস্ত্রধারী ধারালো দা, ছোরা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে তারা জড়ো হয়ে মোক্তার আহামদের দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে দোকানদার মোক্তার আহমদ ও তার ছোট ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর করা হয়। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা ও লুটপাটের শিকার ব্যবসায়ী মোক্তার আহমদ বলেন, এলাকার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। চুরি, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসায় জড়িত এই দলের সদস্যরা। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে বর্তমানে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে কাকারা ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।