ঘরে তালা দিয়ে আগুন পুড়ে গেছে ১০ ঘর

90

পটিয়ায় চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুড়ে গেছে ১০টি বসতঘর। এছাড়া এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধাসহ ৪ জন আহত হন।
আহতরা হলেন রনি আক্তার (২২), মেহেরাজ খাতুন (৭০), মো. রফিক (২২) ও তাহের হোসেন (২৫)।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে থেমে থেমে মারামারি ও বিবাদের ঘটনা ঘটলেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বেলা ৩টার দিকে। আগুনে ১০টি ঘর পুড়ে গেছে।
পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো বাণীগ্রাম এলাকার আনছার আলী, মনছুর আলী, মোহাম্মদ হারুন, গোলামুর রহমান, সজিব, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ ইউনুচ, আবদুল মালেক, পারভীন আকতার ও রুবেলের। এসব ঘর থেকে কোন মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ হাশেমের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধ চলছিল। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাদের মধ্যে বিবাদ হয়। পরে বিকাল তিন টায় প্রতিপক্ষ বহিরাগত লোকজন নিয়ে রিপন ও মামুনের নেতৃত্বে কেরোসিন ঢেলে এসব ঘরে আগুন দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে এই বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতÐা হয়। এক পর্যায়ে রিপন নামের একজন উত্তেজিত হয়ে কেরোসিন ঢেলে বসতঘর জ্বালানোর হুমকি দেয়। এরপর বেলা ৩টার ঘরে আগুন জ্বলে উঠে।
আগুনের খবর পেয়ে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাকসুদ আহমদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মারামারিতে দু’পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা খবর পেয়ে গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, জায়গার বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, একটি পক্ষ বসতঘরে তালা লাগিয়ে আগুন দিয়েছে। তারপরও প্রকৃত ঘটনা বের করতে প্রশাসন কাজ করছে।