গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

22

‘ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন’ এমন সমীকরণকে সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। গোল মিসের মহড়াতেও জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের নক আউট পর্বে পা রেখেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যায় কিরগিজদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুর প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় মেয়েরা। গ্যালারিতে তখনও ঠিক মতো ঠাঁই নিয়ে বসতে পারেনি বাংলাদেশের সমর্থকরা। রেফারির বাঁশি সেন্টার থেকে বল পেয়ে ভোঁ দৌড়। ১৮ সেকেন্ডে থ্রো থেকে বল কৃষ্ণার পায়ে। একজনকে বোকা বানিয়ে কিরগিজস্তানের গোল বরাবর শট। গোলরক্ষকের হাত ফসকে বল সিক্স ইয়ার্ডের ভেতরে ফাঁকা জায়গায়। ঠান্ডা মাথায় আলতো টোকা ওত পেতে থাকা সানজিদার। মুহূর্তের মধ্যে বল জালে।
ম্যাচের শুরু থেকেই অল আউট ফুটবল খেলা গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা প্রথমার্ধে ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে শুরু করে। প্রথমার্ধে অন্তত আরও হাফ ডজন খানেক আক্রমণ করে গোলের খোঁজ পায়নি ফিনিশিংয়ের অভাবে। কৃষ্ণা-সানজিদা মিলেই যেন গোল মিসের মহড়া করেছে। তবে এতে আক্রমণ থেমে থাকেনি লাল-সবুজরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও কিরগিজদের রক্ষণভাগকে চাপে রাখে স্বাগতিকরা। ৫৯ মিনিটে সানজিদার দুর্দান্ত ড্রিবলিং আর অসাধারণ পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।
এরপর অবশ্য ব্যবধান কমায় কিরগিজস্তান। বদলি হিসেবে নেমে জাইরানার গোলে স্বাগতিকদের সঙ্গে ব্যবধানে ২-১ করে কিরগিজরা।
এরপরেও ডজনখানেক গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজরা।
কিরগিজদের সঙ্গে এর আগেও ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার কিরগিজদের জালে ১০ গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল কৃষ্ণা-শামসুন্নাহাররা। ওই দলের সবাই এখন লাল-সবুজে আছে। কিরগিজদের সেই দলের কয়েকজন সদস্য এবারের এই দলে আছেন।