গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

15

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য খুবই আন্তরিক। তিনি দেশে অন্নহীনকে অন্ন দানের বিচিত্র ব্যবস্থা করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের পর্যাপ্ত ভাতা প্রদান, দরিদ্র অসহায় নারীদের বিধবা ভাতা, অসহায় বৃদ্ধদের জন্য বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি কর্মসূচি চালু রেখে দেশের অসংখ্য দরিদ্র মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন। বাস্তুহারা মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করছেন। বেকার যুবকদের চাকরির জন্য দেশে দেশি-বিদেশি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠায় প্রণোদনা দিচ্ছেন। দেশের রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্টের উন্নয়ন করে চলেছেন। সর্বোপরি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাধনে তাঁর আন্তরিকতা এদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের মানুষের আর্থিক অগ্রগতির সকল পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। দেশের উদ্যোক্তাদের যথাযথ উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের নিশ্চয়তা বিধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে অভূতপূর্ব সাফল্যের স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিনি সারা দেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের হাতে ভূমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তরের সার্বিক ব্যবস্থা করেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে নতুন ঘর পেল দেশের ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবার। এ প্রকল্প দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য অপূর্ব মানবিক দলিল হয়ে থাকলো। গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের প্রধান সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এহেন উদ্যোগে আমরা তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
এদেশের মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদা সমূহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে সমাধান করা তাঁর পক্ষেই সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ এখনো ভূমি ও গৃহ পাননি। ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারের পাশাপাশি দেশে আরো অসংখ্য ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে সাগরপাড়ে, পাহাড়ে, রেল লাইনের পাশে, মানবেতর জীবন যাপনের বস্তি হতে এদেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ এবং সার্বিক বৈষম্যহীন নিয়মে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে পাবে এমন ধারণা দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের।
আমাদের দেশে ভূমিহীন, গৃহহীন, দরিদ্র অসহায় মানুষকে পুনর্বাসন করার জন্য প্রচুর অনাবাদী সরকারি ভূমি রয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহায়তায় দেশের সকল মানুষের আবাসন নিশ্চয়তা বিধান সম্ভব। দেশের মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিষয়ক কাজের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যুগ যুগ ধরে দেশের কল্যাণে ক্ষমতায় দেখতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলে দেশের শিক্ষা ও গণস্বাস্থ্য খাতের তাবৎ সমস্যা সমাধান করে সুস্থ ও শিক্ষিত জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে বাঙালিদের একটি শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সার্বিক ব্যবস্থা করতে পারবেন। প্রসঙ্গত আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নের ব্যবস্থা এখনো সন্তোষজনক মনে হয় না। আর সার্বজনীন শিক্ষানীতির অভাবে দেশে প্রকৃত নৈতিক ও যোগ্য শিক্ষিত নাগরিক তৈরি হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলে দেশের সর্বস্তরের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব হবে বলে এ বিশ্বাসে দেশের মানুষ বুক বেঁধে আছে।