ক্যাম্পাসে বাস চালুর দাবিতে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া

21

চবি প্রতিনিধি

সম্প্র ঘটে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
এছাড়াও প্রায় সময় ঘটে যাওয়া সিএনজি চালকদের হাতে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা বয়কটের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নাম্বার গেইট থেকে জিরো পয়েন্ট এবং জিরো পয়েন্ট থেকে পুরো ক্যাম্পাসে চক্রাকার বাস সার্ভিসের দাবি জানিয়েছে তারা। এসব দাবি নিয়ে #boycot_CNG, #Start_bus_service হ্যাশট্যাগে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপে মো. আব্দুল আহসান তোহা নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, “জিরো পয়েন্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালু করা এখন সময়ের দাবি। আমার মনে হয় ৪টা বা ৬টা বাস থাকলেই যথেষ্ট। বাসগুলো একট নির্দিষ্ট সময়ে পুরো এলাকা চক্কর দিয়ে আসবে। বাইরের কোনো লোকাল গাড়ি আমাদের দরকার নাই।”
এছাড়াও আরো অনেক শিক্ষার্থী একই দাবিতে আরো বিভিন্ন রকম ¯ট্যাটাস দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় এক সিএনজি মালিককে পুলিশ কর্তৃক আটকের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেন সিএনজি চালকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকে। এরপর আটককৃত সিএনজি মালিককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর থানা থেকে ছেড়ে দিলে তারা সাড়ে তিনটায় ধর্মঘট উঠিয়ে নেয়।
এর আগের দিন সোমবার রেলক্রসিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী সিএনজি চালকদের হাতে মারধরের শিকার হন। এর মধ্যে একজন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির কর্মী, আরেকজন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী ও অপর একজন সাধারণ ছাত্র।
মারধরের ঘটনার জেরে একইদিন সন্ধ্যা থেকে শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে রেখে আন্দোলন করে। প্রায় আড়াই ঘন্টা আটকে রাখার পর সিএনজি মালিককে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার পর ছাত্রলীগ কর্মীরা অবরোধ তুলে নেয়।
হাটহাজারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিএনজি মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সিএনজি মালিক ও চালকদের সাথে বসব। এসব বিষয়ের একটা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টাও আমাদের মাথায় আছে। আমরা ভেবে দেখব।