কোভিড : ৩ মাস পর দৈনিক শনাক্ত ছাড়াল দুইশ

2

ঢাকা প্রতিনিধি

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। এই সময়ে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হলো এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৩১ জন।
এর আগে গত ১৭ মার্চ ২৩৩ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন মাস পর ফের দুইশর বেশি রোগী শনাক্তের খবর এল।
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমণের দাপট কমলে ফেব্রæয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিল
সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা ১৩ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
১১ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত রোববার আবার একশ ছাড়িয়ে যায়। সেদিন সারা দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় ১২৮ জন নতুন রোগী। মঙ্গলবার শনাক্ত রোগী আরও বেড়ে হয় ১৬২ জন। বুধবার তা দুইশ ছাড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ওই ২৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তাদের মধ্যে ২১৬ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জে ২ জন; বরিশালে দুইজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, কক্সবাজারে ৩ জন, ফরিদপুর, কুমিল্লা, জয়পুরহাট্, বগুড়ায় ১ জন কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১৩১ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮৮ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ জন সেরে উঠলেন।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৬৭ লাখ।