কেডিএস কন্টেইনার ডিপোতে গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা

10

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কেডিএস লজিস্টিক নামের কনটেইনার ডিপোতে কাভার্ডভ্যান চাপায় একজন নিহতের ঘটনায় ডিপোর ব্যবস্থাপকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার নিহতের ছোট ভাই ইমাম হোসেন বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় মামলাটি করেন। নিহত মোহাম্মদ হোসাইন (৩২) চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বাবুর হাটের বাসিন্দা। মামলার আসামিরা হলেন ডিপোর ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন, পরিবহন শাখার কর্মকর্তা আবদুর রহমান, সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ আফিসার ও কাভার্ডভ্যান চালক রবিউল হোসেন (৩০)।
জানা যায়, গত সোমবার বিকাল তিনটার দিকে মালামাল নামানোর সময় মোহাম্মদ হোসাইন নিজের মালিকানাধীন কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সীতাকুন্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গত দুইদিন আগে কেডিএস কন্টেইনার ডিপোতে কাভার্ডভ্যানে গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর নিহতের ভাই বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় গাড়িচালকসহ কন্টেইনার ডিপোতে চাকরিরত ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা পরবর্তী আমরা তদন্ত এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করছি।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কাভার্ডভ্যানে করে রপ্তানিপণ্য নিয়ে গত সোমবার সকালে সীতাকুÐে কেডিএস কন্টেইনার ডিপোতে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ হোসাইন। তখন গাড়িটির চালক ছিলেন রবিউল হোসেন। ঐদিন বেলা তিনটার দিকে মালামাল নামানোর জন্য ডিপোর ৯ নম্বর পয়েন্টে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডিপো কর্তৃপক্ষ গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। মালামাল নামানোর জন্য সিগনালম্যান, অপারেটর ও স্টাফদের নির্দেশনা অনুযায়ী গাড়িচালক কাজ করছিলেন। এ সময় তাদের অবহেলার কারণে কাভার্ডভ্যানের চাপায় তার ভাই মোহাম্মদ হোসাইন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ওই কাভার্ডভ্যানে করে চালককে দিয়ে কনটেইনার ডিপো থেকে বের করে দেওয়া হয়। চালক তাকে নিয়ে চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করান। অথচ ডিপো কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি এবং খবরও নেয়নি। এ মৃত্যুর জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাদী ইমাম হোসেন।