কাল চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিংয়ের মোটর র‌্যালি

47

জাতীয় সমবায় পুরস্কার পাওয়ায় দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে। এর মধ্যে থাকবে মোটর শোভাযাত্রা, সুধী সমাবেশ, সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ইত্যাদি। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সোসাইটির সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিছ, সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, কোষাধ্যক্ষ মোফাখখারুল ইসলাম খসরু, সদস্য মো. আলমগীর পারভেজ, সৈয়দ রফিকুল আনোয়ার, আলাউদ্দীন আলম, শাহ আলম বাবুল, মো. নুরুল ইসলাম মিন্টু, মো. রাশেদুল আমিন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।
আগামীকাল মঙ্গলবার মোটর শোভাযাত্রাটি এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে সিআরবি শিরীষতলা, পলোগ্রাউন্ড, টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি, ২ নম্বর গেট হয়ে সোসাইটির কার্যালয়ে শেষ হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরদিন বুধবার কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে হবে মূল অনুষ্ঠান। সোসাইটির সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সোসাইটির সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীন সমবায় পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটি সোসাইটির ৬৭ বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সমবায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার। এ সম্মাননা প্রাপ্তি সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে উদ্যাপনের জন্য তিন দিনের অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি জানান, ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামের বনেদি পরিবারের সদস্যরা ১৯৫১ সালে এ সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৫ সালে ৪২ দশমিক ২১ একর জমি অধিগ্রহণ করে সোসাইটিকে হস্তান্তর করে সরকার। ওই জমিতে ১৬৫টি প্লট তৈরি করে সদস্যদের হস্তান্তর করা হয়। ১৯৬২ সালে ৭০ দশমিক ৩৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৭০টি প্লট তৈরি করা হয়। ১৯৯৬ সালে পাহাড়তলী এলাকায় ৪ দশমিক ৭৪ একর জমি কিনে ৫৮টি প্লট তৈরি করা হয়। যা রোজভ্যালি আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত। সোসাইটির প্লটগুলোতে ১ হাজার ৬০০ ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া বড় দীঘির পাড় খিলাপাড়া এলাকায় ৩৫ কানি জমি কেনা হয়েছে। খুলশীতে ৮ তলা ভবনে ১২ সদস্য, নাসিরাবাদে ১০ তলা ভবনে ৩২ সদস্যকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন হাজার সদস্যের আবাসিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সোসাইটি। ১৯৬৪ সালে সোসাইটির উদ্যোগে অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। যাতে বর্তমানে ৪ হাজার ছাত্রী, ১০০ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। খবর বিজ্ঞপ্তির