কাঁচা মরিচের ৫ উপকারিতা

14

খাবারে ঝাল একটু বেশি হয়ে গেলে অনেকেই আর তা খেতে পারেন না; ভাবেন ঝাল খেলেই হয়তো পেটের পীড়ায় ভুগতে হতে পারে। আবার এমন অনেকেই আছেন, যারা ঝাল ছাড়া কোনো খাবারই খেতে পারেন না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, সব জিনিসেরই ভালো-মন্দ আছে; কিন্তু কোনো জিনিস বেশি খাওয়া ভালো নয়। অতিরিক্ত মরিচ খেলে হতে পারে নানা সমস্যা। তবে কাঁচামরিচের কিন্তু অনেক গুণ। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, আয়রন, কপার, পটাসিয়াম ও প্রোটিন।
কাঁচামরিচ কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি কাঁচামরিচের মতো ঝাঁজালো একটি সবজি যে ক্যানসার প্রতিরোধ করে, তা কিন্তু অনেকেরই অজানা। নিয়মিত কাঁচামরিচ খাওয়ার অভ্যাস করলে কিছু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নিই, সেইসব সমস্যা সম্পর্কে।
ওজন হ্রাস : কাঁচামরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামে এক ধরনের উপাদান থাকে, যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, রক্তে থাকা কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে কাঁচামরিচ।
ক্যানসার প্রতিহত করে :
কাঁচা মরিচে রয়েছে ফ্ল্যাবনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক। এ ছাড়া রয়েছে ক্যাপসাইসিন; যা স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের আশঙ্কা কমে :
ক্যাপসাইসিন যেহেতু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
তারুণ্য ধরে রাখে : কাঁচামরিচে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। মরিচে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকে খুব একটা বয়সের ছাপ পড়ে না।
ইমিউনিটি বাড়ে : একদম ছোট বাচ্চাদের কাঁচামরিচ খাওয়ানো উচিত না। একটু বড় হওয়ার পর যদি তাদের কাঁচামরিচ খাওয়ানোর অভ্যাস করানো যায়, তা হলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।