করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক

12

পূর্বদেশ ডেস্ক

আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সাত দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ। কয়েক দিন ধরেই করোনার
ধবার দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মহাদেশে দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে সব চেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছে। ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ভাইরাস, দুটোই কিন্তু অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট তারই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১ সপ্তাহে বাংলাদেশে ১০ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। ৭ দিনে দেড় লাখ টেস্ট হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭ দিনে ৬ হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় পরের সপ্তাহে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জন। গত ৭ দিনে ২০ জনের মৃত্যু দেখেছি করোনায়। যদিও আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃত্যু ২০ শতাংশ কম। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
গত ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা শতাংশের হিসাবে প্রায় দ্বিগুণ রোগী পেয়েছি। ৫ জানুয়ারি ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, ১১ জানুয়ারি এসে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে। গত ৭ দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তারপর থেকে এটা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা শুধু একই ধারায় বৃদ্ধি হচ্ছে তা না, প্রোগ্রেসিভলি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। পুরো ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৫৮৮ জন রোগী আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি, সেখানে জানুয়ারির মাত্র ১১ দিনে ১২ হাজার ৮৫০টি রোগী ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা ও রাঙামাটি করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বুলেটিনে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত এক সপ্তাহের করোনা সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানায়, রাজধানী ঢাকায় করোনার সংক্রমণ ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনার সংক্রমণ হার ১০ শতাংশ। হলুদ জোন বা অপরিবর্তিত মধ্যম ঝুঁকি বা কম থেকে মধ্যম ঝুঁকিতে আছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর ও রংপুর। এ ছাড়া কম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে দেশের ৫৪টি জেলা।