কক্সবাজার থেকে সাগরে নেমেছে কয়েকশ ট্রলার

63

সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। গত ২০ মে থেকে শুরু হয় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। গতকাল মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলার বৃহৎ পাইকারি মাছের আড়ৎ কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছটা ফিশারিঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। প্রায় দুই মাস বাঁকখালী নদীতে নোঙর করে রাখা কয়েকশ ট্রলার রাতেই মাছ ধরার জন্য গভীর সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এছাড়া আরও ট্রলার আজ বিভিন্ন সময় রওনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
তারা জানান, আজ ভোর থেকে সমুদ্রে মাছ ধরায় আর কোন নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা জেলে পরিবারগুলো। এতদিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় জেলে পরিবারগুলোকে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে। প্রতিটি জেলে পরিবার ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। এখন মাছ ধরে দেনা শোধ ও সংসারের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর পালা।
শহরের নুনিয়াছটার মৎসজীবী মীর আহম্মদ জানান, কয়েকদিন আগে থেকে সাগরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জেলেরা। আজ থেকে জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে নামবেন।
বাহারছরা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ হোসেন জানান, বাজারে এখন মাছের অনেক চাহিদা। জেলেরা মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরলে বাজারে মাছের সংকট দূর হবে।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান জানান, ২৩ জুলাই রাত ১২টার আগ পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এ নিষেধাজ্ঞা গত ২০ মে সোমবার থেকে কার্যকর হয়ছিল। সাগরে মাছের সংখ্যাবৃদ্ধির স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন মাছ ধরতে কোন বাধা নেই। কষ্ট হলেও সরকারি আইন মান্য করায় জেলেদের ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, ইলিশের মৌসুমে সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার। ২০১৫ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে শুধু ট্রলারের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এবার সকল প্রকার নৌযান অর্থাৎ ছোট ফিশিং বোট, ইঞ্জিন চালিত নৌকা এর আওতায় ছিল। আর সামুদ্রিক মাছ ধরে জীবনযাপন করা জেলেরা সরকারের এ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিল।
স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে ৬৫ দিন তারা মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয় জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে।