কক্সবাজারে দলবেঁধে ধর্ষণের বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিট

7

কক্সবাজারে স্বামী ও সন্তানকে আটকে রেখে এক পর্যটককে দলবেধে ধর্ষণের অভিযোগের বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে হাই কোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ‘জনস্বার্থে’ এই রিট আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভ‚ঁইয়া রাসেল।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, কক্সবাজারে র‌্যাবের কমান্ডিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও টুরিস্ট পুলিশের সুপার এবং টুরিস্ট পুলিশের ডিআইজিকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী রাসেল বলেন, কক্সবাজারের ঘটনা পুলিশ তদন্ত করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ ষ পৃষ্ঠা ৭, কলাম ৩.
ষ প্রথম পৃষ্ঠার পর
থেকে নানা ধরনের বক্তব্য এসেছে, যা অনেকক্ষেত্রে ‘পরস্পর বিরোধী’। ‘বিচারিক অনুন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করার জন্য রুল চেয়ে আমি জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেছি। চলতি সপ্তাহেই রিট আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে।’
২৫ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, সংঘবদ্ধ একটি চক্র গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে তাকে তুলে নেয়। তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ‘কয়েক দফা ধর্ষণ করে’ তিনজন।
পরে খবর পেয়ে জিয়া গেস্ট ইন নামের এক হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, ২ নম্বর আসামি ইসরাফিল হুদা জয়সহ এজাহারভুক্ত চার আসামি এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আরও তিনজনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর বিডিনিউজের
আশিককে ২৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, চাঁদা ‘না দেওয়ার’ কারণে কক্সবাজারে ওই নারী পর্যটককে ধর্ষণ করার কথা আশিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আশিকের সঙ্গে ওই নারীর আগে থেকেই পরিচয় ছিল, যদিও ওই নারী তা অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সাড়া না পাওয়ার যে অভিযোগ ওই নারী করেছেন, তা অস্বীকার করে কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেছেন, ওই অভিযোগ ‘সঠিক নয়’।
র‌্যাবের সহায়তায় উদ্ধার পাওয়ার পর কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তাজনীনের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন সেই নারী। কিন্তু পরে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে ফিরে এসে তিনি ও তার স্বামী দাবি করেন, একটি উড়োচিঠি পেয়ে ভয়ে তিনি তার স্ত্রীকে আদালতে ‘মিথ্যা সাক্ষ্য’ দিতে বলেছিলেন।