ওরা ৩ জন মিলেমিশে শিশু পাচার করে

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম থেকে চুরি হওয়া দেড় বছর বয়েসী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে হবিগঞ্জ থেকে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খবরা এলাকা থেকে গত শুক্রবার এ শিশুকে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কুলসুম বেগম ওরফে কুসুম (২৭), তার স্বামী মো. সোহেল (২৯) ও সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান, গত বুধবার সকালে রৌফাবাদ এলাকার রাজা মিয়া কলোনি থেকে শিশুটিকে চুরি করেন কুলসুম। পরে তিনি তার কথিত স্বামী সোহেল ও খোরশেদাকে নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে চলে যান। শুক্রবার মাধবপুরে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিশুটির মা মুক্তা বেগম পোশাক শ্রমিক ও বাবা আব্দুল খালেক মাংস বিক্রেতা। রাজা মিয়া কলোনিতে কয়েক বছর ধরে তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা কাজে যাওয়ার সময় তাদের ১২ বছর বয়েসী মেয়ের কাছে ছোট ছেলেকে রেখে গিয়েছিলেন।
বড় বোন রান্না ঘরে গেলে কুলসুম ঘরে ঢুকে ছেলেটিকে চুরি করে নিয়ে যান। বাসায় এসে মুক্তা বেগম ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। এরপর থানায় অভিযোগ করেন।
ওসি জানান, আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে তার ছেলেকে এক নারী কোলে করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। এসময় কুলসুমের ছবি শনাক্ত করা গেলেও কেউ পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে কুলসুমে পরিচয় নিশ্চিত করে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
কুলসুম ও সোহেল নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করলেও কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার হলেও আগে চট্টগ্রাম থাকতেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে সে হবিগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে যায়। কিন্তু তার মা খোরশেদা কলোনিতে থাকতেন।
ওসি জানান, মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ১২ এপ্রিল সোহেল চট্টগ্রামে আসেন। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে তার মামলার হাজিরা ছিল। ওই দিন কুলসুম রাজা মিয়া কলোনি থেকে শিশুটি চুরি করে আমিন কলোনিতে খোরশেদের মায়ের বাসায় চলে যায়। সেখান থেকে তারা বিকালের ট্রেনে হবিগঞ্জের মাধবপুর চলে যায় বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।