ওমিক্রনে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম : গবেষণা

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ফুসফুসের ক্ষতি কম করে। ওমিক্রনে ফুসফুসের চেয়ে কণ্ঠনালীতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করে, করোনার এই ধরন অন্যান্য ধরনের চেয়ে বেশি সংক্রামক তবে কম ঝুঁকিপূর্ণ।
স¤প্রতি ছয়টি গবেষণার প্রাথমিক তথ্য এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে গবেষণাগুলোর তথ্য এখনও কোনো পিআর-রিভিউড জার্নালে প্রকাশ হয়নি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডেনান পিলে বলেন, সকল মিউটেশনের ফলাফল ওমিক্রনকে পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলো থেকে আলাদা করেছে। এই ভ্যারিয়েন্টে বিভিন্ন ধরনের কোষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সার কথা হলো, এটি আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট (শ্বাসযন্ত্রের অংশ) কোষগুলোকে বেশি সংক্রামিত করতে সক্ষম। সুতরাং এটি ফুসফুসের গভীরের কোষের পরিবর্তে শ্বাসযন্ত্রে সংখ্যাবৃদ্ধি করে। এই গবেষণাগুলো প্রাথমিক কিন্তু গবেষণার ফল এসব দিক নির্দেশ করে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গলায় বেশি সংক্রামিত হওয়ার কারণে এই ভ্যারিয়েন্ট কেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যদি ভাইরাসটি ফুসফুসের কোষকে বেশি আক্রমণ করত তাহলে এটি কম সংক্রামক কিন্তু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হতো।
এদিকে ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের আণবিক ভাইরোলজি গবেষণা দলের গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা ইঁদুরের উপর গবেষণায় দেখেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ক্রমে ‘কম গুরুতর রোগে’ পরিণত হয়। ওই ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেমস স্টুয়ার্ট রচিত গবেষণাপত্রে দেখানো হয়, ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত ইঁদুরের ওজন কমে যায় এবং মৃদু মাত্রার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এরই মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।