এনআইডি দিয়ে ট্রেনের টিকেট বিক্রি শুরু

78

সোনার বাংলা ট্রেনের সব টিকেটে এখন থেকে যাত্রীর নাম থাকবে। এই টিকেট কিনতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে। লাগবে যাত্রীর মোবাইল নম্বরও। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুধু অনলাইনের ১৫ ভাগ টিকিটের ক্ষেত্রে এ বিধান থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার থেকে সব টিকেটেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এনআইডি ছাড়া ‘সোনার বাংলা ট্রেনের কোন টিকেট দেওয়া হয়নি। যাত্রীদেরকে কাউন্টারে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধনপত্র দেখিয়ে টিকেট নিতে দেখা গেছে। আর টিকিটের সঙ্গে যাত্রীর নাম যুক্ত থাকছে। ১৮টি অক্ষরের মধ্যে নাম সীমাবদ্ধ রেখে টিকিট প্রিন্ট করে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে টিকিট বিক্রির ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল। তবে আগে যারা অগ্রিম টিকেট নিয়ে নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগেনি। এখন থেকে কেউ সোনার বাংলার টিকিট নিতে চাইলে অবশ্যই এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন দেখাতে হবে।
রেলস্টেশন থেকে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৫৮৪। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ মোবাইল ও অনলাইনে বিক্রি হয়। বাকিগুলো কাউন্টার থেকে যাত্রীকে কিনতে হয়।
সূত্র জানায়, টিকিট আগের মতই থাকছে, শুধু নিচের দিকে যাত্রীর নাম লেখা থাকবে। এই নাম ১৮টি অক্ষরের মধ্যে লিখতে হবে। কারও নাম আরও বড় হলে ডাক নাম বা সংক্ষেপে নাম লিখতে হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছিল এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের। কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে রেলওয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম সোনার বাংলার অনলাইন টিকিটে এবং ১৫ জানুয়ারি থেকে বিক্রি হওয়া সব টিকিটে এই বিধান কার্যকর করে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সব ট্রেনে টিকিটের রং পরিবর্তনসহ নতুন কাগজে নাম, এনআইডি ও বয়সযুক্ত টিকিট পুরোপুরি চালু হবে।
বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর ছাড়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিট কিনতে পারবে না কেউ। একটি এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন নম্বরের বিপরীতে ৪টি টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। ১টি নম্বর দিয়ে প্রতিদিন একবারই টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
কালোবাজারী দূর, নিরাপত্তাসহ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে টিকেটের গায়ে যাত্রীর নাম, বয়স এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জরুরি হয়ে পড়েছিল বলে জানান তিনি।