এক নারীসহ আরও দুইজন গ্রেপ্তার

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটি কর্পোরেশন আওতাভুক্ত জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দু’টি সিপিইউ, দু’টি মনিটর, দু’টি প্রিন্টার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
গত বুধবার চসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস ও ইপিজেড থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন হলেন কম্পিউটার দোকানদার মো. রাকিব হোসেন ওরফে হিমেল ও মনি দেবী। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে এসে জন্মনিবন্ধন সনদের মূল কপি চান মনি দেবী। এসময় জন্ম নিবন্ধন সনদে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার আবেদনটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে আগে অবৈধভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আপলোডকৃত ৪০৯টি সনদের একটি। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মনি দেবী জানায়, আবেদনটি তিনি ইপিজেড থানা এলাকার একটি কম্পিউটার দোকানদারের মাধ্যমে করেছেন। পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস থেকে সনদ ভুয়া জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনি দেবীকে হেফাজতে নেয় কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মনি দেবী বিষয়টি স্বীকার করেন এবং জানান, তার জন্মনিবন্ধন সনদ থাকার পরও নামের টাইটেল পরিবর্তন এবং বয়স কমিয়ে সঠিক তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে অবৈধভাবে দ্বিতীয় দফায় জন্ম সনদ সংগ্রহ করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার দোকানদার মো. রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত দু’টি সিপিইউ, দু’টি মনিটর, দু’টি প্রিন্টার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ডিভাইস এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করে জানা যায়, গ্রেপ্তার রাকিব দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক পেইজ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে চক্রের অন্যান্য সদস্যের সহায়তায় ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ওই চক্রের সদস্য অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশের মাধ্যমে একটি ভুয়া জন্মসনদ প্রস্তুত করে পুনরায় চক্রের সদস্যদের পাঠায়। টাকার বিনিময়ে ওই ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ বিভিন্ন জনের কাছে সরবরাহ করে থাকে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তার রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে ভুয়া জন্ম সনদ জাল জালিয়াতি করার অভিযোগে ইপিজেড থানার একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী মো. রহিম উল্ল্যাহ চৌধুরী বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করেছেন। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।