একটি মহতী উদ্যোগ এবং আমাদের দায়বদ্ধতা!

11

মিয়া জামশেদ উদ্দীন

রোজা রমজানের দিন, সবদিকে কেমন উষ্ণতা- উৎকণ্ঠাতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে উদ্বেগে পড়তে দেখাযায়। এমনিতে চাহিদার তুলনায় যোগান অপ্রতুল। তার মধ্যে সিন্ডিকেট প্রবণতা জেঁকে ধরেছে। এতে করে বাজার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। কি নিত্য পণ্য সামগ্রী বলুন, কি সাজসজ্জায়, সমানভাবে দাম বেড়ে চলেছে। তাই, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উৎকণ্ঠাতা বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি এমন যে, কে কার কথা শুনে। ভালো কথাও শুনতে ভালো লাগে না; পাগলা ঘোড়ার মতো ধাবমান। সঙ্গত কারণে বলতে হয়, ঈদ যতই নিকটে এসে যাচ্ছে, স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে মরিয়া কর্তারা। তার মধ্যে জামা-কাপড়ে হাত দেয়াও যাচ্ছে না; সাথে সেমাই চিনি খেজুরসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী। এখন চলছে প্রতিদিনের ইফতার সামগ্রী ও সেহরি খাওয়া-দাওয়ার দায়। যেন ওনুর উপর তিন ধুনা। পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন ধরে নিম্নগামিতা দেখে আশায় সঞ্চারিত হই। ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত নেমে আসছে। এখন দেখছি আবারও ৬৫ থেকে ৭০ টাকা লাফিয়ে উঠছে। এর পেছনে কোনো কারণ থাকতে পারে না; এখন পেঁয়াজের ভরপুর মৌসুম। অন্তত তিন মাস দেশীয় পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব হবে। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকলে প্রভাব পড়ার কথা নয়। মজুদদাররা একটি উছিলা পেলেই হয়! ফটাফট দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। কয়েকদিন বাজার মনিটরিংয়ে নামে প্রশাসনের লোকজন। তাতে কিছুটা হলেও জবাবদিহীতা বাড়ে। তবে এ তৎপরতা দেশে সিটি- শহরগুলোতে দেখা মিললেও মফস্বলে-এর ছায়াও মাড়ায়নি। ওরা যেটা করার প্রয়োজন, সেটি না করেই অন্যটা নিয়ে টানাটানি করে বেশী; ‘ভোক্তা অধিকার’ নামে একটি সংস্থা আছে। সেটিও মাঠে নেই। অবশ্য এরমধ্যে কিছু পণ্যের তালিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিধারণ করে দেয়া হয়। বহুল প্রচারিত জাতীয় একটি দৈনিকে-এ তালিকা প্রকাশ পায়। তাতে আরদে একটি পণ্য হাত বদল হলে কিভাবে দাম বেড়ে যায়, তা দেখানো হয়েছে। দেখাযায়, আরদে অ্যাপেল কেজি ১৮০টাকা। আর একদিনের মাথায় বা অদূরে বিক্রয় হচ্ছে ২৯০টাকা থেকে ৩১০ টাকা পর্যন্ত। এ অবস্থা দেখে হাসবো কি কান্না করবো, ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছি না। এ যেন পুতুল নাচের ইতিকথার মতো; রোজা এলে নতুন সমন্ধ-স্বজন ও আত্মীয়দের বাড়িতে ইফতার সামগ্রী পাঠাতে হয়। এটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য মোটা অংকের বাজেটও করতে হয়। তাই, অনেকে ধারদেনা করে হলেও এসবে অংশ নিতে হয়। শুধু স্বজনদের সুখের আশায় তারা তা করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।
যাক, যেকথা বলতে চাই। গ্রামের ছেলে হানিফ। পেশায় মুরগী ব্যবসায়ী। বয়সে তিনি আমার বড়। সেদিন তাঁকে দেখলাম, হেলেদুলে হাতে দুটি মুরগী নিয়ে গ্রামের মেঠোপথ ধরে আসতে। এমনি তিনি হেসেমেতে সকলের সাথে কথা বলে। এটি তাঁর অনেকগুলো ভালো গুণের মধ্যে একটি। অনুরূপ আমাকে দেখেও হেসে ওঠে বলেন, জামশেদভাই, ‘কন্ট্রোল থেকে কিনে আনতেছি। কেজি মাত্র ১০০টাকা! বাজারে বিক্রয় হচ্ছে কেজি দেড়শ’ থেকে ১৭০টাকা। প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকায় সাশ্রয় মূল্যে কিনতে পেরেছি। অর্থাৎ প্রতিজন তিন কেজি পর্যন্ত ফার্মের মুরগী কিনতে পারবে। হানিফভাই জোর দিয়ে বললেন, জামশেদভাই, আপনিও এই দরে কিনতে পারবেন; সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদের সামনে এ কন্ট্রোল মূল্যে মুরগী বিক্রয় হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম এটি উদ্বোধন করেন। অবশ্য এবার সংস্থাটি একদিন মাত্র হ্রাসকৃত দরে মুরগী বিক্র করে। স্বেচ্ছাসেবকদের একজন মুন্নাভাই। তিনি আমার বেয়াইনের ছোট বোনের মেয়ের জামাতা। সেদিক থেকে আমাদেরও জামাতা। জামাইবাবু মুন্না বলেন, এবার ক্রেতাদের অস্বাভাবিক চাপ ছিল। একদিনে ১ হাজার হতদরিদ্রদের সাশ্রয় মূল্যে মুরগী দেয়া গেছে। যা আমাদের লক্ষমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরো বললেন, গত বছর রোজাতেও সাশ্রয় মূল্যে মুরগী ও চাউল দেয়া হয়। তখনও মুরগী কেজি ১০০ টাকা এবং চাউল ২৫ টাকা কেজি করে হতদরিদ্রের দেয়া হয়। সেবার ৩দিন ধরে দেয়া হয়।
অবশ্য এ ধরনের ব্যবস্থা বা উদ্যোগ হতদরিদ্রদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে। কিনতে এসে কোনো একজনকেও সমস্যায় পড়তে দেখেনি। তারা স্বাচ্ছন্দভাবে কিনতে পেরেছে।
এটি অভিনব পদ্ধতি বা ব্যতিক্রম উদ্যোগও বলা যায়। এক লন্ডন প্রবাসী উদ্যোগটি নিয়েছেন। এ লন্ডন প্রবাসী মহিউদ্দিন চৌধুরী বহদ্দারকে এবার দেখা যায়নি। তাঁর চ্যারেটি সংস্থার লোকজন যথাযথভাবে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। অবশ্য গতবার এ তরুণ সমাজহিতৈষীকে সশরীরে দেখা যায়। বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের পেশকার পাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম আলী আহসান চৌধুরী বহদ্দার। তাঁর পিতাও স্বউদ্যোগে রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে গাছ রোপণ করতেন। তাঁকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয় সংবাদপত্রে। বলতে হয়, ‘বাপকে বেটা, সিপাইকা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া।’
এ যুবক সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করে আসছে। কাজ করে একটি লিগ্যাল এইড সংস্থায়। তাঁর এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে হয়। বিশেষ করে রোজা রমজানের দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম অসহনীয় হয়ে উঠে। প্রধানমন্ত্রীও ব্যবসায়ীদের আহŸান জানিয়েছেন, তারা যেন অযথা অসহনীয় পরিবেশ না করে। এমন কি রমজানে দলীয় বা সরকারিভাবে বড়ধরনে ইফতার পার্টি না করতেও বারন করে। প্রয়োজনে হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে। ফেবুর কল্যাণে এরকম একটি মহতী উদ্যোগ দেখেছি। চট্টগ্রামের অপর্ণা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে হতদরিদ্রের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ আহবান দলটির তৃণমূলপর্যায়ে সাড়া জাগিয়েছে। এপর্যন্ত দলটির কোনো শাখাপ্রশাখা ও প্রশাসনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি হতে দেখেনি। কিছু কিছু সামাজিক সংস্থা নিজেদের মত করে ইফতার পার্টি আয়োজন করে। পারত পক্ষ, এসব লোক দেখানো অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত না থাকাটা শ্রেয় মনে করেছি। সীতাকুন্ডে একজন তো আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে, এপর্যন্ত তার একক উষ্কানিতে দৃশ্যমান একাধিক ইফতার পার্টি হয়; তারও স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে; সেই যে করে হোক, ইফতার পার্টি আয়োজন করবেই! কাউকে না কাউকে জড়িয়ে এসব প্রভাবকান্ড চলেছে। অনককে নিজেদের অজান্তে আয়োজন করে মর্মাহত হয়েছে অনুষ্ঠানে।
আমার দিকটা একটু ভিন্ন। এসবে জড়াতে একদম চাই না। জলে বাস করে কুমিরের সাথে লড়াই; বাপের বাপ, আমি-বাবু তাতে চ্যালেঞ্জ চুড়ে দিতে পারি না; দেশের একটি দল বিদেশি ক‚টনীতিকদের সম্মানে একটি পাঁচ তারকা হোটেল ইফতার পার্টি আয়োজন করে। কমবেশ উল্লেখযোগ্য দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিত ছিল। দলটি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গরগর বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। দেশের আভ্যন্তরিক বিষয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ পায়। কথা হলো, নিজেদের দায় ও কর্তব্য জনগণকে শুধাইলে জনপ্রিয়তা বাড়ে। বিদেশী প্রভুদের শুধাইলে জনবিচ্ছিন্নতা প্রকাশ পায়। যাগগে, নিজেদের পশু নিজেরা কোরবানি দিবে পেছনের দিকে, নাকি মাথার দিকে, তারাই ভালো জানে। একটু মুখচোর হওয়াতে ভেজাল গায়ে জড়ায়। আমিও ফেবুতে দুই-এক লাইন লেখেছি। এটি কারো চক্ষুশূল হওয়ার কথা নয়। আবার কেউ সমানভাবে মেনে নিতে না-ও পারে। তারই একটি খেসারত হাতে নাতে পাচ্ছি। কৃষক জুনু ব্যাপারীকে ঠান্ডা মাথায় স্থানীয় মেম্বার সালাউদ্দিন ঠেঁট দিয়ে বসে। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকাল ১১.৪৫ মিনিটে এড. সরওয়ার সাহেব তাঁর ০১৮১৯৮৪৯১ মোবাইলে জানালেন, আমাদের বাড়ির পাশ লাগোয়া জমি অর্থাৎ মুরাদপুরের দোয়াজীপাড়ার পৈতৃক কৃষি জমির ওপর স্থানী মেম্বার সালাউদ্দিন রাস্তা নির্মাণ করবে। এই মেম্বার নাকি কৃষক জুনু ব্যাপারীকে ২৫ মার্চ রাতে তার সব্জিভান্ডারে গিয়ে বলেছেন, তার খেত সরিয়ে নিতে। এড. সরওয়ারের মুখে মোবাইলে একথা শুনে হতভাগ; জনাব এডভোকেট সাহেবকে জিজ্ঞেস করি, আপনাকে তা কে জানিয়েছেন। তিনি বললেন, আমার বড় ভাই মুজাফফর সাহেব তাঁকে নাকি এসব জানিয়েছেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাকেও নাকি বলেছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। আমিও প্রত্যুত্তরে কিছু প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োনীয় কথা বলি। বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়, কৃষক জুনু ব্যাপারী দুপুর ১২.২৭ মিনিটে মোবাইল ফোন করে একই কথা আমাকে বলে। সে জমিনে পটোল ক্ষেত করেছে। সে একটি সখিন চাষি। আমার ভাবনা হলো, বলা নেই কওয়া ওই মেম্বার কৃষকে ক্ষেত ভাঙ্গিয়ে ৮ ফুট চওড়া রাস্তা করবে, আর এজন্য জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছে।
তবে আমার কেমন একটা খটকা লাগেছে। মেম্বার কেন কৃষি জমির ওপর নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে চায়। এজন্য তো সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজন। কৃষক ও জমির মালিকদের ক্ষতিপুরনের ব্যাপারস্যাপার আছে। প্রথমে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এসবে কোনো নোর্টিশও পাইনি। তা হলে রাতারাতি জোরপূর্বক রাস্তা করেই ছাড়বে মেম্বার; এটি ঠান্ডা মাথায় কৃষককে ঠেঁট দেয়া। আমি ওই মেম্বারের সাহসের প্রশংসা করলাম। অবশ্য পরে তার মেঝভাই আলতাবকে জানানো হয়। সন্ধ্যায় জুনু ব্যাপারীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসা হয়। এমনিতে ৪নং ইউপি’র মেম্বারদের সাহস একটু বেশী। গত সপ্তাহে এক মেম্বারকে পুলিশ গ্রেফতার করে খুনের দায়ে। ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। এভাবেই এলাকায় নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে ওই ইউনিয়নে। ইউপি’র লম্বাঘরের মাথায় ২ জন খুন হয়। ইউনিয়ন পরিষদের লাগোয়া, ৫০ গজের মধো তৃতীয় আরেকটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। ওই ইউপি’র দেলু সওদাগরের ছেলেকেও উপজেলা পরিষদের সম্মুখে হত্যা করে। ওইস্থানে আরো কয়েক বছর আগে জোড়া খুন হয়। মারপিট চাঁদা বাজিতো লেগেই আছে। রাতের আঁধারে কৃষকের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া ঘটনাসহ নেই কোনো হেন কাজ হচ্ছে না ওই ইউপিতে সংঘটিত হচ্ছে না। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব কিচ্ছুই জানে না; তিনি দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছেন। যার ফলে একের পর এক খুন হচ্ছে। কেন খুন হচ্ছে, কেনবা খুন করবে, তাও রহস্যজনক। এসব উদঘাটন করা সম্ভব হচ্ছে না প্রশাসনের; তবে প্রশাসন চায়লে পারে না এমন কাজ নেই! ২৪ মার্চও ইউপির ৪নং ওয়ার্ড থেকে দু’ ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র সহকারে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে এ ইউপিতে। দেশের সব জায়গা থেকে কিশোর গ্যাং পাকড়াও অব্যাহত আছে।
কিন্তু ধূর্তরা স্থানীয় এ মেম্বারকে লেলিয়ে দিয়েছে মনে হয়। বয়সে তরুণ এ মেম্বার। তার সমাজ সেবায় স্বাক্ষর রাখার মত যথেষ্ট সময় আছে এখনো। তা ভাবনা চিন্তা না করেই শুরুতে হোঁচট খাও কি-না। গ্রেফতার হওয়া মেম্বারের জন্য পরান কান্দে; কেন এসব নাশকতামুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়াবে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ স্থানীয় সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে চলবে। গায়ে পড়ে মোড়লীপনা সাজবার কেন প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, এখন ডিজিটাল যুগ, প্রতিটি নাগরিক সচেতন। হাতে তাদের অ্যান্ড্রেড সেট। প্রতি সেকেন্ডে তারা রাজ্যের সকল খবরাখবর রাখতে পারে। আবার কেউ কেউ চোরকে চুরি কর, গৃহস্থকে সজাগ থাক বলে পার হওয়ারও সুযোগ নেই। মোদ্দা কথা, কৃষি জমি রক্ষা। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আনতে হবে। দেশের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সঙ্গে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য একযোগে সকলকে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাবিত জমির ওপর আমাদের নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রত্যাশা আছে। এটি যেহেতু পৈত্রিকভাবে ওয়ারিশী সম্পত্তি। তা হলে জনগণের উপকার আসবে।
লেখক : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক, কবি ও কলামিস্ট