উদ্ধার হয়নি টেকনাফের ৪ কৃষক, ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

3

টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি অপহৃত চার কৃষককে। অপহৃত একজনের মোবাইল ফোন থেকে কল করে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও অপহৃতদের স্বজনেরা।
অপহৃত কৃষকেরা হলেন উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার আবুল হোছনের ছেলে আব্দুস সালাম, একই এলাকার ছৈয়দ হোসেন প্রকাশ গুরা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান, রাজা মিয়ার ছেলে মুহিবুল্লাহ ও ফজলুল করিমের ছেলে আব্দুল হাকিম।
গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে থেকে এ চার কৃষক অপহরণ করা হয়।
গত শনিবার রাতে উপজেলার হ্নীলায় লেচুয়াপ্রাং এলাকায় খেত দেখভাল করতে যান ওই চার কৃষক। রোববার ভোরে তাঁদের অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে অপহৃত আব্দুস সালামের মোবাইল ফোন থেকে কল করে তাঁর পরিবারের কাছে ১০ লাখ এবং অন্য তিনজনের জন্য জনপ্রতি ৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
অপহৃত আব্দুল হাকিমের পরিবারের সদস্যরা জানান, অপহৃত চারজনের মধ্যে আব্দুর রহমানের কাছে মোবাইল ফোন ছিল। সেই ফোন থেকে অপহৃত আরেক কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, তাঁদের ছাড়িয়ে আনতে ২৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিতে হবে এবং এখনো তাঁদের পাহাড়ের গহিন জঙ্গলে রাখা হয়েছে।
অপহৃত আব্দুস সালামের বড় ভাই মুন্সি রফিক বলেন, ‘পাহাড়ের পাদদেশে আমাদের জমি আছে। যেখানে প্রায় প্রতিদিন পাহাড় থেকে হাতির দল এসে খেতের ফসল নষ্ট করে। হাতি থেকে খেত রক্ষায় শনিবার রাতেই পাহাড়ে যান চার কৃষক। কিন্তু প্রতিদিনের মতো ভোরে ফিরে আসার কথা থাকলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত কেউ বাড়ি ফেরেননি।’
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘অপহরণের কথা শুনে পুলিশের সঙ্গে ওই দিনই অভিযানে অংশ নিয়েছিলাম। পরদিন তারা আব্দুস সালামের কাছ থেকে ১০ লাখ, অন্যদের কাছে ৫ লাখ করে মুক্তপণ দাবি করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি তাঁর জানা নেই। সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করতে সহজ হয়। পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এই শীতের রাতেও পাহাড়ে পুলিশের দুটি দল অভিযান চালাচ্ছে। প্রয়োজনে গোটা পাহাড় ঘেরাও করে ব্লক রেইড চালানো হবে।
ওসি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হলেই অঘটনের ঘটনা ঘটছে। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার পরও তারা ক্যাম্প থেকে বের হওয়াটা দুঃখজনক।’