ঈদগাঁহতে স্বামীর মাদক সেবনে বাধা নির্যাতনে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর

21

স্বামীর ইয়াবা ব্যবসা ও নিয়মিত সেবনে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরসহ বহুমুখী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন নামের তিন সন্তানের জননী। এলাকার লোকজন এসে দ্রুত উদ্ধার পূর্বক হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্ত্রী নিলুফাকে। গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁহ-ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড টেকপাড়া গ্রামে। বর্তমানে স্বামী পলাতক রয়েছে, স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসী ও স্ত্রীর স্বজনেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বামী রাশেল উদ্দীন প্রকাশ সোহেলের সাথে নিলুফা ইয়াসমিনের ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। কিছুদিন সংসারে ভাল কাটলেও অভাব অনটনে পড়ে যায় নিলুফা রাশেল দম্পতির পরিবার।
অসহায়, দরিদ্র স্ত্রী নিলুফা পরের ঘরে কাজকর্ম করে সন্তানদের নিয়ে সংসারের হাল ধরে। ইত্যবসরে মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িয়ে পড়ে স্বামী রাশেল। বহুবার এ ঘৃণিত পেশা ছেড়ে দিতে বলায় স্ত্রী, সন্তানদের উপর মানসিক নির্যাতন চালায় রাশেল। তারপরও ভাল পথে ফিরে আসার স্বপ্ন নিয়ে এগুতে থাকে স্ত্রী। ঘৃণিত পেশা ছেড়ে ভাল পথে ফিরে আসার আকুতি জানালে নেমে আসে মারধর, মানসিক নির্যাতন।
এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন স্ত্রী নিলুফা। গত সোমবার দুপুরে সকলের অগোচরে নিজ শয়ন কক্ষে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বিষপানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দ্রুত উদ্ধার পূর্বক ঈদগাঁহর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে রয়েছে স্ত্রী নিলুফা, পলাতক রয়েছে স্বামী রাশেল উদ্দীন প্রকাশ সোহেল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
একই এলাকার অধিবাসীরা জানান, রাশেল উদ্দিন প্রকাশ সোহেল দীর্ঘদিন ধরে ঘাতক নেশা ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনে জড়িত রয়েছে। তার এহেন কর্মকান্ডে সমাজে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উঠতি বয়সী যুব সমাজ। তার বিশাল একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। তাকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাটি কেউ অবগত করেননি। মাদক ব্যবসায়ী রাশেল উদ্দীন প্রকাশ সোহেলকে খুব শ্রীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।