ঈদগাঁওতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

16

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদে শিক্ষক কর্তৃক এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত মিটন কান্তি দে (৩৪) নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের বাবা।
মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছেন পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক মিটনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাটি গত ১৬ জুলাই রাতে হিন্দু পাড়াস্থ আসামি মিটনের বাড়িতে ঘটলেও মামলা হয়েছে ২৪ আগস্ট। অভিযুক্ত মিটন কান্তি দে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সমির কান্তি দে’র ছেলে। মিটন চৌফলদন্ডী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার সনাতন ধর্মালম্বী এক ব্যক্তির এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে মিটন কান্তি দে’র কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেন। প্রতিদিনের মত ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় শিক্ষক মিটনের বাড়িত যায় এ শিক্ষার্থী।
রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে এই শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মিটন। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে মিটনের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক মিটন। পরে ভিকটিম ছাত্রীটি বাড়িতে এসে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে৷ এসময় ভিকটিম তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়।
ভিকটিমের বাবা জানান, বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলে ঘটনা অস্বীকার করে তাকেসহ তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এরপর বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদে জানালে অভিযুক্ত শিক্ষক মিটন কান্তি দে বিয়ে করবেন মর্মে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়।
সালিশের পর থেকেই চুক্তিভঙ্গ করে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে বলে জানান ভিকটিমের বাবা। নিরুপায় হয়ে তিনি ঈদগাঁও থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। মামলাটি থানা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে ভিকটিমের পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করেছে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম বলেন, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ভিকটিমকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত আসামি মিটন কান্তি দে’কে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।