ইমিগ্রেশনে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ

32

শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীরা বলছেন, নামে আন্তর্জাতিক হলেও সাধারণভাবে যাত্রীসেবা দৃশ্যমান নয়। অধিকাংশ যাত্রীকেই তাদের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হয়রানির শিকার হতে হয়। এছাড়া দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও নানান অনিয়মের কথা প্রায় শোনা যায়। ইমিগ্রেশনে আগমন ও নির্গমনে পালাক্রমে দুটি দল কাজ করলেও আগমনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি বেশি হয় বলে যাত্রীরা মনে করেন।
জানা যায়, ঢাকা, সিলেট থেকে আসা যাত্রীরা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রবেশে বেশি হেনস্থার শিকার হন। তদারকির নামে কতিপয় ইনসপেক্টর নিরীহ যাত্রীদের বোডিং পাস চেকসহ অনাবশ্যক যাচাই জেরা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের দাপটে যাত্রীদের তটস্থ থাকতে হয়। কোন যাত্রী ভিআইপি মর্যাদা পাবেন, বিজনেস ক্লাস বা অগ্রাধিকার পাবেন তা ইমিগ্রেশন পুলিশের পছন্দ ও মর্জির উপর নির্ভর করে। এদের দাপটে বিদেশি বা অসুস্থ যাত্রীরা যথাযথ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার এধরণের একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, বিকালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট আসার প্রায় পরপরই থাইল্যান্ড থেকে অপর একটি এদেশীয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় স্বাভাবিকভাবে ইমিগ্রেশনে ভিড় লেগে যায়। তখনই সাজ্জাদ নামের জনৈক ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর হম্বিতম্বি করে সারি এড়িয়ে কয়েকজন যাত্রীকে ইমিগ্রেশন পার করায়। এসময় কয়েকজ যাত্রী ও জনৈক সাংবাদিক এর প্রতিবাদ জানালে তাদের ধমক দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘক্ষণ পর ইমিগ্রেশন এসপি কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে অন্যদের ইমিগ্রেশন দেয়া হয়।
সেসময় বিমানবন্দরে উপস্থিতএক যাত্রী জানান, ঘটনার সময় বিদেশি, ভিআইপি ও বিজনেস ক্লাস কাউন্টারও সচল ছিল। ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ বিজনেস ক্লাসের যাত্রী নামে সাধারণ কাউন্টার দিয়েই সারি অতিক্রম করা সকল লোকদের পার করানো রহস্যজনক বলে মনে হয়েছে অন্যান্য যাত্রীদের। বিষয়টি ইমিগ্রেশন এসপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গোচরীভূত করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়োজিত পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) মো. কামরুজ্জামান পূর্বদেশকে বলেন, ‘বিষয়টি সেরকম কিছু না। একসাথে দুটি ফ্লাইট নামাতে যাত্রীদের ভিড় লেগে যায়। প্রায় ৪০০ জনের মতো যাত্রী ছিল। আমাদেরতো নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটি আছে। এরপরেও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ সবধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যাত্রীরা বেশি লাইন দেখলে অখুশী হয়ে যায়। সামনের যাত্রী পেছনে, পেছনের যাত্রী সামনে চলে আসেন। অনেক সময় বিজনেস ক্লাসের যাত্রী পেছনে থাকেন। সাধারণ যাত্রী সামনে থাকেন। তখন আমরা নিয়মানুযায়ী ডিপ্লোমেট, অফিসিয়াল ও বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের সামনে নিয়ে আসি। বাংলাদেশের নরমাল যাত্রীরা বিষয়টিকে সহজভাবে নেন না। আমাদের দুইটা কাউন্টার ডিপ্লোমেট, অফিসিয়াল, বিজনেস ক্লাস ও বিদেশিদের সুবিধার্থে রাখা হয়।