পূর্বদেশ ডেস্ক
চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ শিকার হয়েছে এবং দেশটির এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৬৭ জন সেনা নিহতের দাবি করেছে রাশিয়া। নিহতদের মধ্যে আছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সদস্য ও বিদেশি ভাড়াটে সেনা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ সংখ্যা প্রকাশ করে এবং তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর অভিযোগ এনেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল কোনাশেঙ্কভ হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করার সময় বলেন, কেবল মারিওপোলেই ৪ হাজারেরও বেশি যোদ্ধা হারিয়েছে ইউক্রেন, যাদের মধ্যে বিদেশি ভাড়াটে সেনা ও কুখ্যাত আজভ এবং আইডার রেজিমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উগ্র জাতীয়বাদীরা রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার দেশের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লুকাচ্ছেন, কারণ ঠিক কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, তা তিনি ইউক্রেনের জনগণকে জানাতে ভয় পাচ্ছেন।
কোনাশেঙ্কভ ব্যাখ্যা করেন, নিহত সেনার সংখ্যার স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে আছে। এসব নথি থেকে পাওয়া বিস্তারিত তথ্য খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি। খবর বার্তা সংস্থার।
অপরদিকে ইউক্রেনের দাবি, মাত্র ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজারের মতো ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ তথ্য জানান।
তিনি একইসঙ্গে দাবি করেন, ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তবে জেলেনস্কির দাবির সঙ্গে একমত নয় মস্কো। গত মাসে রুশ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে মাত্র ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রæয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায়। তাদের দাবি, মিনস্ক চুক্তির শর্ত পূরণে ইউক্রেন ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মস্কো ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে।
সা¤প্রতিক সময়ে ক্রেমলিন দাবি করেছে, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে এবং তারা কখনোই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না।
তবে কিয়েভের দাবি, সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে রাশিয়া তাদের ওপর আক্রমণ করেছে এবং দনবাসের দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অঞ্চলকে আবারো দখলে আনার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
