আনোয়ারায় দুর্ঘটনার খবরে কাভার্ডভ্যান চালককে চতুর্মুখী আক্রমণ

45

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় এক কাভার্ড ভ্যান চালককে নিয়ে লঙ্কাকান্ড ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটায় চাতরী চৌমুহনী বাজারের গোল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পিএবি সড়কের ফাজিলখাঁর হাট এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয়ার খবরে কাভার্ডভ্যানটিকে ধাওয়া করে লোকজন।
ধাওয়া খেয়ে আরো বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে আরো কয়েকজন পথচারীকে আহত করে। এসময় একজন মোটরসাইকেল রেখে সরে গেলে মোটর সাইকেলের উপর কাভার্ডভ্যানটি তুলে দেয় বেপোরোয়া চালক। খবর পেয়ে কাভার্ডভ্যানটিকে চাতরী চৌমুহনী বাজারের গোলচত্বরে ব্যারিকেড দেয় জনসাধারণ। এসময় চালক বেড়িকেড টপকে চলে যেতে চাইলে ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে গাড়ি থামায় সেই চালক।
এসময় সেই চালক জ্ঞান হারায়। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশকেও বিশ্বাস করে না জানিয়ে চালক তারা আসল পুলিশ নয় বলে জানায়। আসল পুলিশ না আসলে তিনি গাড়ি থেকে নামবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এক পর্যায়ে গাড়িতে ছোড়া ইটগুলো হাতে নিয়ে বসে থাকেন। কাছে গেলে এক পুলিশ সদস্যের উপরও ইট ছুড়ে মারে। এসময় আশেপাশে শত শত উৎসুক মানুষের ভীড় জমে যায়। রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রায় আধ ঘন্টা রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর এক ছাত্রলীগ নেতা ও পুলিশ গাড়িতে উঠে তাকে ঝাপটে ধরে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনে। পরে তাকে চেংদোলা করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আটক চালকের নাম মহব্বত আলী (৪০)। তিনি সুন্দরপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কাউকে গাড়িতে চাপা দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) সৈয়দ ওমর বলেন, কাভার্ডভ্যান চালককে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বড় উঠান ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম বলেন, আমি ফাজিল খাঁর হাটে বসা আছি। এ ধরণের ঘটনা হলে আমি শুনতে পেতাম।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ফকিরনীর হাট এলাকায় দুর্ঘটনার কোনো তথ্য আমি পাইনি।