নগরীর এমইএস কলেজ গেটের বিপরীত পাশে স্কুলছাত্র জাকির হোসেন (সানি) হত্যা মামলায় দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, আনিসুর রহমান ও মো. মামুন। গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ওসমান গণি তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এই দুই আসামি নগরের ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা দুজন ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আদালতে দায়িত্বরত নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, দুই আসামি উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনে ছিলেন। ওই জামিনের মেয়াদ শেষে তারা সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নগরের খুলশী থানার ওমরগণি এমইএস কলেজ গেটের বিপরীতে জাকিরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সাদা শার্ট পরিহিত স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিছু ছেলে তাকে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করার দৃশ্য ধরা পড়ে ঘটনাস্থলের আশপাশে লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায়। নিহত জাকির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিনের শ্যালক। ঈদুল আজহার আগে ঢাকা থেকে নগরীর খুলশীতে বোনের বাসায় বেড়াতে এসে খুনের শিকার হয়।
পুলিশ জানায়, ঢাকার মিরপুরে একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত জাকির। ঢাকায় যাওয়ার দুই বছর আগে চট্টগ্রামে বোনের বাসায় থাকত। ওই সময় নগরীর সারমন স্কুল এন্ড কলেজে পড়ত সে। খুনের ঘটনায় জাকিরের বড় বোন মাহফুজা আক্তার কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করেন। পরে এমইএস কলেজছাত্র সংসদের জিএস আরশেদুল আলম (বাচ্চু) ও নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ ৫১ জনের নাম এজাহারে সংযুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন বাদী। আদালত খুলশী থানা পুলিশকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এই মামলায় বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে এবং অনেকে জামিনে আছেন।
