আগুনে পুড়েছে চোখ ৬৩ জনের

33

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের পর বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত আরও ছয় জনের চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখার পর পরিচালকের কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রোগীদের মধ্যে ৬৩ জন রোগী চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। তবে সে আঘাতের মাত্রার পরিমাণে কম-বেশি আছে। কিছু কিছু আছে সিরিয়াস আহত। তাদের মধ্যে কারও শুধু চোখেই আঘাত, আবার কারও কারও শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছয় জনের চোখের উন্নত চিকিৎসার দরকার আছে, যা এখানে সম্ভব নয়। এদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হতে পারে। আমরা চাই গুরুতর আহত ছয় রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। এছাড়া আরও চার-পাঁচজন রোগীর চোখের অবস্থা খারাপ। কিন্তু তাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থার কারণে এখনই ঢাকা নেওয়া সম্ভব নয়। তাদের শরীরের পরিস্থিতি সপ্তাহ খানিকের মধ্যে উন্নত হলে পরিবারের সম্মতি সাপেক্ষে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এ চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে ডিপোতে আহত রোগীদের চোখের চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছি। সব রোগীর ফাইল আমি দেখেছি। সবারই কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে অনেক সংকটের মধ্যেও এখানকার চিকিৎসকরা খুব ভালোভাবেই ম্যানেজ করেছেন। আগেও অনেক জটিল রোগীকে তারা সফলভাবে দেখভাল করেছেন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব ভালোভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এটা অকল্পনীয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে ৬৩ জন রোগীর চিকিৎসার ফাইল দেখেছি। যেসব রোগীকে ঢাকায় পাঠানো দরকার, তাদের পাঠাতে বলেছি। চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট তাদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত আছে। এছাড়া আহত সকল রোগীর ইনপ্রোভ হবে। তবে দুয়েকজন দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় ভুগলেও ভালো হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তাদের রুটিন চেকআপে রাখা হবে। সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চমেক অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীসহ প্রমুখ।