আইরিশদের অলআউট করার দিনেও অস্বস্তি বাংলাদেশের

14

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

চার বছর লম্বা সময়। এই সময়টুকুতে টেস্ট খেলেনি আয়ারল্যান্ড। তাদের ব্যাটিংয়েও তার ছাপ। উইকেট পতন শুরু হলে চলতেই থাকে, মাঝেমধ্যে অবশ্য হাল ধরেন কেউ কেউ। বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে থাকে না তেড়েফুঁড়ে যাওয়ার তাড়না। আইরিশদের অলআউট করার আগে তাদের সংগ্রহ ছাড়িয়ে যায় দুইশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেছিলেন ৬৫ ওভারের পর। তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ৯ বছর পর ঘরের মাঠে তিন পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ, একজন ছিলেন উইকেটশূন্য। প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তি নেই বাংলাদেশের। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দিনের একদম শেষ বলে ফিরেছেন তামিমও। মিরপুরের শের বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ১৮০ রানে। শুরুতে ব্যাট করে ২১৪ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৪ রান তুলতে দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামতে হয় আয়ারল্যান্ডকে। চার বছর পর টেস্ট খেলতে নামা আইরিশ শিবিরে জমা হয় অভিষেকের হিড়িক। সাত ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। ছয়জনের টেস্টেই আর পিটার মুর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললেও এবারই প্রথম আইরিশদের হয়ে। বাংলাদেশকে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসারের বলে এলবিডবিøউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান মুরে কামিন্স (০৫)। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার জেমস ম্যাককলামকে (১৫) আউট করেন এবাদত হোসেন। আইরিশদের স্কোরকার্ডে পঞ্চাশ পেরোনোর আগে সফরকারীদের অধিনায়ক অ্যান্ড্রæ বালবার্নিকে (১৬) এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। এরপরই কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার। তাদের জুটিতে আসে ৭৪ রান। এর মধ্যে অভিষিক্ত টেক্টর পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখা।
৬ চার ও ১ ছক্কায় ৯২ বলে ৫০ রান করা টেক্টরকে দারুন এক ডেলেভারিতে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কার্টিস ক্যাম্পার ৭৩ বলে ৩৪ রান করে তাইজুলের বলে এলবিডবিøউয়ের ফাঁদে পড়েন। ৮ বল খেলে ১ রান করে আউট হন আইরিশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পিটার মুর।
৭৪ বলে ৩৭ রান করা টাকার ও ৫২ বলে ৩২ রান করা অ্যাডায়ার দুজনকেই ফিরিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ১১তম ফাইফারের দেখা পাওয়া তাইজুল ইসলাম। ২৮ ওভারের ১০টিতে মেডেনসহ ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ৮ ওভারে ২২ রান দিয়ে একটি, ১২ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে এবাদত ২টি ও ১৭.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন ২ উইকেট। ৬৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসা অধিনায়ক সাকিব ৩ ওভারে একটি মেডেনসহ ৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব। ৯ ওভারে ২৯ রান দিয়ে উইকেট পাননি খালেদ আহমেদও।
শেষ বিকেলে আধঘণ্টা বাকি থাকতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ের করা ইনিংসের পঞ্চম বলেই বোল্ড হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকি দিনটা পার করছিলেন তামিম ও মুমিনুল হক। কিন্তু দিনের একদম শেষ বলে তামিমের ফেরা দিনটিকে করেছে অস্বস্তির। ম্যাকব্রাইনের বলে সেকেন্ড ¯িøপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তামিম। ৩৬ বলে তিনি করেছেন ২১ রান। ২৩ বলে ১২ রান করে দ্বিতীয় দিনে অপরাজিত থেকে নামবেন মুমিনুল।