অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ৩ জঙ্গি গ্রেপ্তার

2

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়ির দূর্গম এলাকা থেকে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারীর প্রধানসহ ৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
গতকাল সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির দূর্গম পার্বত্য এলাকা হতে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া’র (জঙ্গি) গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহকারী দলের প্রধানসসহ ৩ সহযোগিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র মতে, গত ৭ জানুয়ারি আনুমানিক রাত ২ টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোমাংখিল এলাকা থেকে নাদেরুজ্জামানের ছেলে কবীর আহমদ (৪৫) কে আটক করে। পরে আটক কবীর আহমদের তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৪ টার দিকে সিটিটিসি ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরানের নেতৃত্বে একটি টীম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছাগলখাইয়ার রাবার বাগানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এসময় আরও দুই জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন মো. আলম প্রকাশ আলইম্যা ডাকাত ও নুরুল আবছার। তারা দু’জনই গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সরমঞ্জামের মধ্যে ছিল ৩টি দেশি পিস্তল, ৬টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি, ৪ লিটার এসিড, ২৫০ গ্রাম গান পাউডার, ৩ লিটার অকটেন, ২ কার্টুন ম্যাচ বক্স, ২ কয়েল বৈদ্যুতিক তার, ১ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ১টি
কেচি কাটা করাত, ১টি হ্যান্ড’শ, ১টি প্রাইভেটকার ব্যাটারি, টি শার্ট ২০ পিস, মানকি টুপি ১২ পিস, সুপার গøু ১২ পিস, জালের কাঠি ১ প্যাকেট।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের সরমঞ্জামের খবর পাওয়ার পর আটককৃত ব্যক্তিরা জঙ্গি গ্রæপের মদদদাতা হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে।
সিটিটিসি প্রধান জানান, এই বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ বিষয়ে দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান বলেন, এধরণের ঘটনা নানাভাবে শুনলেও স্থানীয় মেম্বারসহ কেউ সত্যতা নিশ্চিত করেনি আমাকে। এ জন্যে আমি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করবো না।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে কোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেনি কিংবা অভিযোগ বা মামলাও করেনি। তবে সিটিটিসির পক্ষ থেকে পুলিশ চাইলে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে কয়েকজন পুলিশ পাঠিয়ে ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেন।