‘অবাধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’ কিশোরীর আত্মহত্যা

15

প্রেম নয়, শুধুমাত্র অবাধ চলাফেরায় বাধা পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক কিশোরী। এর জন্য তিনবছর ধরে চিন্তা-ভাবনা করেছে সে! ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় ময়মনসিংহ জেলা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়মনসিংহ শহরের স্বদেশী বাজার মোড়ের বাসিন্দারা একটি শব্দ পায়। লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখেন এক কিশোরী পড়ে রয়েছে। উপর থেকে পড়লেও কিশোরীর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে ধারণা হয়, তরুণী আত্মহত্যা করেছে। ঘণ্টাখানেক পর মেয়ের দেহ শনাক্ত করেন বাবা স্বপন ধর। তিনি নগরীর কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক।
জানা গেছে, কিশোরীর নাম অর্কপ্রিয়া ধর (১৬)। সে নগরীর বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। নগরীর পুলিশ লাইনস এলাকায় থাকত সে। একই ভবনের ছয় তলায় মাসি সুবর্না দে’র বাড়িতে যাওয়া-আসা ছিল তার। গত রবিবার দুপুরে মাসির ঘরে না গিয়ে ছাদে উঠে যায় অর্কপ্রিয়া। এরপরই ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় সে।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় সে। সেখানে সে লিখেছে, নিজের স্বাধীনতায় বাবা-মা ও ভাইয়ের হস্তক্ষেপ মেনে নিতে পারছিল না সে। সেই কারণে তিন বছর ধরেই আত্মহত্যা নিয়ে ভাবছিল। অনেক চেষ্টা করেও নিজের কষ্ট ভুলতে পারছিল না। অবশেষে এই চরম সিদ্ধান্ত। মেয়ের এমন মৃত্যু কোনওভাবেই মানতে পারছেন না স্বপনবাবু।
পুলিশ জানিয়েছে, অবাধ স্বাধীনতা ও চলাফেরায় পরিবারের লোকজন হস্তক্ষেপ করায় স্কুলছাত্রী রবিবার একটি ১২তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।