৩০ ডিসেম্বর ‘ভোট বিপ্লবের’ ডাক ড. কামালের

52

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহব্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেইভাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় অর্জন করবো। এ বিজয় জনগণের। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, স্বাধীন দেশের প্রশাসন, কোনও দলের লোক হতে পারে না। প্রশাসনকে বলবো, জনগণের স্বার্থে কাজ করুন,
কোনও দলের স্বার্থে নয়। ধানের শীষ কোনও দলের প্রতীক নয় উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ধানের শীষ মানুষের মুক্তির প্রতীক। সবাই ঐক্যবদ্ধাভাবে ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষ মুক্তির প্রতীক।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সারাজীবন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ফাইট করেছি। ৭১ সালে স্বৈচারের বিরুদ্ধে ফাইট করেছি। তারা বিজয়ী হতে পারেনি, আমরাই বিজয়ী হয়েছি। ১৬ ডিসেম্বরের পর আবার ৩০ ডিসেম্বর বিজয়ী হবো।
প্রশাসন ও আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে ভয় দেখানো সম্ভব নয়। তাদেরকে মারাও সম্ভব নয়। জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাড়া পেয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে আরেকটি বিপ্লব হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের উন্নয়নের অনেক বক্তব্য শুনতে হয়। উন্নয়নের বক্তব্যে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে উন্নয়নের সঙ্গে গণতন্ত্র যদি না থাকে, মানবাধিকার যদি না থাকে, তবে তাকে উন্নয়ন বলে না। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিপরীত না। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
তিনি বলেন, জনগণ দেশের মালিক হলে সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নয়ন হবে। তারা বলছেন, গণতন্ত্র রাখো, আগে উন্নয়ন। এটা পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। মানুষ এই সব কথায় কান না দিয়ে দেশের মালিক থাকতে চান।
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, তারা মাথা উঁচু করে বলে আমরা দেশের মালিক। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। এই যে কত বড় অর্জন ছিল, একাত্তরে কত মানুষ জীবন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন জীবন দিয়েছেন। তাদেরকে আমরা স্মরণ করি শ্রদ্ধার সঙ্গে। ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর তাদের আমরা শ্রদ্ধা জানায়। আজকের এই নির্বাচন হলো তাদের স্বপ্নেকে বা স্তবায়িত করার লক্ষ্যে। আজকে আমাদের ঐক্যের ভিত হলো, স্বাধীনতার শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। সংবিধানে শহীদদের স্বপ্নকে বা স্তবে রুপান্তরিত করার পদ্ধতি এই নির্বাচন।
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা যেসব কার্যকলাপ বা ভূমিকা পালন করছেন, তার জন্য সিইসির তালিকায় নায়, মীর জাফরের তালিকায় তার নাম থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের ইতোমধ্যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। পাপের কাছে নতি শিকার না করে, ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে তাদের মুক্তির জন্য, নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা জন্য এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানান তিনি। এসময় গণমাধ্যমকে কারও কাছে নতি শিকার না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনেরও আহব্বান জানান মির্জা ফখরুল।