১৩৮১ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

38

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার ৩৮১ কোটি ২৯ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ প্রকল্পের আওতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।
সরকারের পক্ষে চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি দানদান চেন সই করেন। খবর বাংলানিউজের
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা মেটানো হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচলিত দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, রাস্তা, সড়ক বাতির উন্নয়ন করা হবে। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

চলতি সময় থেকে ২০২২ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ২০০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি দেড় হাজার সড়কবাতি স্থাপন করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দারা সংখ্যালঘু হয়েছে।
‘আর্থ-সামাজিকসহ নানা খাতে সমস্যা হচ্ছে। এরপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব দরবারের প্রসংশিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি বলেন, ১০ লাখের বেশি জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণে আমাদের আরো সহায়তা প্রয়োজন। রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরতে চান। তাদের নিজভূমিতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমরা মিয়ানমারের প্রতি চাপও দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে দানদান চেন বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক স্থানচ্যূত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কারণে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে অনুদান দিতে পেরে আমরা গর্বিত।
‘পাশাপাশি মিয়ানমারের উচিৎ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া। মিয়ানমারের জনগণ ও সৈন্যবাহিনী কিভাবে তাদের নির্যাতন করেছে তা বিশ্ববাসী জানে। শেখ হাসিনা সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার রোহিঙ্গাদের মৌলিক সুবিধা দিচ্ছে।’