মিরসরাইয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক

2

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে সাদিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মিরসরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব গোভনিয়া প্রকাশ আমবাড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে সাদিয়াকে যৌতুকের জন্য হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করছেন তার পরিবার।
সাদিয়া সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকার খান সাবের মেয়ে। মৃত্যুর ঘটনায় সাদিয়ার স্বামী তাজুল ইসলাম রুবেলকে বিকেলে আটক করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪ বছর আগে মিরসরাই পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব গোভনিয়া প্রকাশ আমবাড়িয়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে তাজুল ইসলাম রুবেলের সাথে সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কাজীপাড়ার খানসাবের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে ৭ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। মোহরানায় উসূল দেখানো হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
সাদিয়ার মামী মর্জিনা আক্তার বলেন, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সাদিয়া তার মাকে ফোন করে বলেন, আজকের মধ্যে ৯০ হাজার টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে। তখন তার মা বলেন- আমার কাছেতো টাকা নাই অন্যজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বুধবারের মধ্যে দিয়ে আসবো।
মর্জিনা আরো বলেন, এরপর দুপুরে দোকানের লোকজন এসে আমাকে বলে আপনার ভাগনী আত্মহত্যা করেছে। তখন আমি গিয়ে দেখি খাটের উপর একটা মোড়ার উপর এক পায়ের হাঁটু বাঁকা অবস্থায় আমার মেয়ে ঝুলে আছে। আত্মহত্যা করলে মোড়াতো সরে যাওয়ার কথা। সে যদি আত্মহত্যা করতো দরজা ভেতর থেকে লাগানো থাকার কথা এবং দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করার কথা। দরজারতো কোনো ক্ষতি হয়নি। বিয়ের ৪ মাস পর স্বামী তাজুল ইসলাম ওমানে চলে যায়। গত ১৫ দিন আগে দেশে ফিরে আসে। আসার পর থেকে তাকে টাকার জন্য নির্যাতন করতো। সাদিয়া যেন তার কোনো আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলতে না পারে সেজন্য তার মোবাইলের সকল নাম্বার বøক করে দেওয়া হয়েছে এবং তাকে কোথাও যেতেও দিতো না।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।