মনসুর উদ্দীনের কবিতা মূল্য পাওয়ার দাবি রাখে

79

কবি এ কে এম মনসুর উদ্দীনের ২৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রতি কবির নিজ বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। সভাপতি মো. তাহের আহমদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কবি, লোকসাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক শামসুল আরেফীন। আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিষয়ক গবেষক জামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ সোলায়মান চৌধুরী। প্রধান আলোচক শামসুল আরেফীন বলেন, এ কে এম মনসুর উদ্দিন একজন প্রতিভাবান কবি ছিলেন। তাঁর ঝরাপাতা ও অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৯১ সালে সুলেখা ছাপাঘর থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়, পাঠ করলে বুঝা যায়, বাংলা সাহিত্যে তাঁর কবিতা মূল্য পাওয়ার দাবি রাখে। তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিকও ছিলেন। তাঁর কবিতায় তাঁর গভীর দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে। বলা বাহুূল্য, কবিতা ছাড়া তিনি অনেক ছড়াও লিখেছেন। তাঁর ছড়া বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আলোচক জামাল উদ্দিন বলেন, কবি মনসুর উদ্দীনের রচনা বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। তাঁর কবিতা ও ছড়ার দুইটি গ্রন্থ প্রকাশিত হলেও অপ্রকাশিত রচনা রয়েছে অনেক। কবি ও লেখক হিসেবে এ কে এম মনসুর উদ্দীনের মূল্যায়নের জন্য সেসব প্রকাশ করা প্রয়োজন। উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে আরো বড় আঙ্গিকে কবি এ কে এম মনসুর উদ্দীনের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে । অনুষ্ঠানে কবি আশিষ সেন, আক্তার হোসেন স্বপন, রফিক আহমেদ চেয়ারম্যান, নুরুল হক চেয়ারম্যান, মেম্বার জসীম উদ্দীন, কবি পুত্র ডা. মো. তৌফিক, মো. তারেক সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. ইয়াহিয়া খান। এতে কবির জীবনী ও প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ ‘ঝরাপাতা ও অন্যান্য’ এবং ‘এ. কে. এম. মনসুর উদ্দীনের ছড়া’ গ্রন্থ থেকে কবিতা ও ছড়া পাঠ করা হয়। পরে দোয়া মাহফিল এবং মেজবানের আয়োজন করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির