নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিএনপি

35

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তার প্রতিটি গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সাধারণ জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করবে। কিন্তু এদেশের জনগণ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করে না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছে। কারণ বিগত ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগেও জাতিকে বুঝিয়েছিল অবাধ ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর রাতে নিয়ে ফেলেছে। তাই এই সরকার যত বেশি চাপাবাজি করবে তত বেশি জালিয়াতি করবে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনের প্রতি ভোটারদের আস্থার সংকট কাটানোর উদ্যোগ সরকার বা প্রশাসন কেউ এখনো গ্রহণ করেনি। গত বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা চট্টগ্রামে এসে আমাদেরকে বলেছেন এই উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। তাই আমরা এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এই সরকার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট প্রয়োগগের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান হবে।
ধানের শীষের প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে দেশের কোন জনগণ ভোট দিতে সেন্টারে যেতে পারে নাই। এই সরকার বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দিনের ভোট নিয়ে জালিয়াতি করেছে। আর এই ভোট জালিয়াতি করে এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের মানুষ নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চায়। আমার ভোট আমি দিব। আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করব। উন্নয়ন উন্নয়ন করে নিজেদের উন্নয়ন করছে। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আপনাদের উন্নয়েনের গল্প আর মানুষ শুনতে চায় না। আপনারা বিদায়ের প্রস্তুতি নিন। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে তাদের বিদায়ের পথ খোলা হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান সিরাজ, আজাদ বাঙালি, ইসমাইল বাবুল, আব্দুল আজিজ, আলমগীর নূর, নগর সদস্য আবদুস সবুর, আলী ইউসুফ, মঞ্জুর আলাম মঞ্জু, সাহেদা বেগম, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ সেকান্দর আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাসিম উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, এমদাদুল হক বাদশা, ইমরান উদ্দিন, ইউসুফ, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মুকতার আহমদ, গোলজার হোসেন লেদু, আইয়ুুব খান, জমির উদ্দিন বাবলু, সাইফুল ইসলাম নিরব, মো. হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি